ঢাকা ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:০৮ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ৩০, ২০২০
করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত অর্ধ লক্ষ পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া নেয়া বিভিন্ন কর্ম তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে কর্মহীন হয়ে পড়া নগরীর ৫২ হাজারেরর অধিক অসহায় মানুষকে খাদ্য সামগ্রী ঘরে গিয়ে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এছাড়া ডেঙ্গুর বিস্তাররোধে মশক নিধন কার্যক্রম আরো জোরদার করা হয়েছে। অপরদিকে পানি সরবরাহ বিভাগে নগরজুড়ে জীবনানুনাশক স্প্রে ছিটানোর পরিধী আরো বৃদ্ধি করা হয়েছে। জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি রোধে বিসিসির ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানও অব্যাহত রয়েছে। বিসিসি সূত্র জানায়, দেশব্যাপী করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর উদ্যোগে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়। শুরুতেই বিসিসির স্টাফদের সুরক্ষায় বায়োমেট্টিক হাজিরা স্থগিত, নগর ভবনসহ নগরীর ১২টি পয়েন্টে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার কার্যক্রম চালু করা হয়। এরপর মেয়রের সরাসরি তত্ত্বাবধানে গত ৩০ মার্চ থেকে অসহায় মানুষদের খাদ্য সহায়তা প্রদান কর্মসূচি শুরু হয়। এর আওতায় ২৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৫২ হাজার পরিবারকে ঘরে ঘরে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়। মেয়রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত এ সহায়তা অব্যাহত রাখা হবে। এদিকে বিসিসির পানি সরবরাহ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ওমর ফারুক জানান, মেয়রের নির্দেশে গত দেড়মাস ধরে করোনা রোধে বিশেষ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। গড়ে বর্তমানে প্রতিদিন ৪২ হাজার লিটার জীবানুনাশক পানি স্প্রে করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, তাদের শাখায় ৯ হাজার ধারন ক্ষমতার নতুন একটি ভাউজার যুক্ত হওয়ায় জীবনুনাশক স্প্রে ছিটানো কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। প্রতিদিন নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক, বাজার ও জনসমাগম হয় এমন এলাকায় স্প্রে ছিটানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এর মধ্যে ছোট দুটি গাড়ীর সাহায্যে নগরীর বর্ধিত এলাকায় এবং বড় গাড়ীর সাহায্যে গুরুত্বপূর্ন সড়কগুলোতে জীবানুনাশক স্প্রে ছিটানো হচ্ছে। অপরদিকে বিসিসির পরিচ্ছনতা কর্মকর্তা ডা. রবিউল ইসলাম জানান, করোনা রোধে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম আরো জোরদার করা হয়েছে। কয়েকশত কর্মী নগরী পরিচ্ছন্ন রাখতে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া মশক নিধন কার্যক্রমও চলছে জোরেশোরে। তিনি জানান, ডেঙ্গুর প্রকোপ রোধে মেয়রের নির্দেশে প্রতিদিন সকালে নগরীর ২ থেকে ৩টি ওয়ার্ডে ঝটিকা অভিযানের মাধ্যমে স্প্রে করা হচ্ছে। এবং বিকেলে ফগার মেশিনের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ন সড়ক ও ড্রেনে স্প্রে করা হচ্ছে। বিসিসির স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফয়সাল হাজবুন জানান, মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর নির্দেশে জনগনের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি রোধকল্পে বিসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমতিয়াজ মাহমুদ জুয়েলের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এসকল অভিযানে আভিযানিক এলাকায় উপস্থিত জনসাধারণকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা ও ব্যবসায়ীদের মূল্য বৃদ্ধি না করার জন্য আহবান করা হয়। এদিকে অসহায় মানুষদের সহায়তায় গঠন করা হয়েছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন ত্রান তহবিল। গত ৬ এপ্রিল এ তহবিল চালু করেই মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ তাঁর দায়িত্বকালিন সময়ের প্রাপ্য সম্মানির ৩৫ লাখ ৫৪ হাজার টাকা প্রদান করেন।
Design and developed by Engineer BD Network