ঢাকা ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:২৫ পূর্বাহ্ণ, জুন ১৮, ২০২০
করোনাকালে রংপুরে খুনোখুনি বেড়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে তিন উপজেলায় প্রতিপক্ষ ও দুর্বৃত্তদের হামলায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে পীরগঞ্জে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পীরগঞ্জ উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের গাড়াবেড় গ্রামের মমদেল হোসেন (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সে ওই গ্রামের মৃত শমশের আলীর ছেলে।
বুধবার রাতে মমদেলকে কে বা কারা গলা কেটে হত্যা করে পীরগঞ্জ-চতরা সড়কের পাশে মাঠে ফেলে রাখে। নিজের সামান্য জমি থাকায় খাস ও অন্যের জমি চাষ করে সে সংসার চালাত। এর আগে, গত ১২ জুন রাতে বড় আলমপুর ইউনিয়নের বড় রসুলপুর গ্রামের মোশাররফ হোসেনের ছেলে রুহুল আমীনকে খালাশপীর থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে নির্দয়ভাবে পিটিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে রাখে। আশংকাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে রংপুর মেডিকেলে নেয়ার পথে সে মারা যায়। হত্যাকাণ্ডর এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও এ ঘটনায় জড়িত কাউকেই পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।
এদিকে ১৪ জুন গঙ্গাচড়া উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে আরিফুল ইসলাম (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন জনকে আটক করেছে।
এর কিছুদিন আগে মিঠাপুকুরের খোড়াগাছ এলাকায় শামসুল হক ভুট্টো নামে এক জনকে প্রতিপক্ষরা পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার তার মৃত্যু হয়।
এসব বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফ হোসেন বলেন, হত্যাকাণ্ড কারোই কাম্য নয়। বিশেষ করে করোনাকালে। আমরা প্রতিটি হত্যাকাণ্ডই গুরুত্বসহকারে দেখছি।
Design and developed by Engineer BD Network