ঢাকা ৩০শে মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১০ই জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:৩৬ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২৭, ২০২২
তালাশ প্রতিবেদক ॥ বরিশালে কীর্তনখোলা নদী রক্ষা বাঁধের ব্লক তৈরিতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড ভাঙ্গার মাথা নামক এলাকায় নদীর ভাঙ্গন রক্ষা বাঁধ নির্মাণে নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে ব্লক তৈরির অভিযোগ তুলে স্থানীয়রা। পরে এমন সংবাদে ঘটনাস্থলে যায় বেশ কয়েকজন সংবাদকর্মী।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, মাটিযুক্ত বালু, ছোট পাথরের জায়গায় বড় পাথর, পাথরের সাথে ধুলোবালিযুক্ত অবস্থায় ঢালাই ও ইটের খোয়া মিশ্রনে শ্রমিকরা একের পর এক তৈরি করছেন ব্লক। এমন অবস্থায় কাজ ভাল না হওয়ায় স্থানীয় এলাকাবাসি এই কাজ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল সদর আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ ফারুক শামীমের কাছে দাবী জানান। অন্যথায় নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরি ব্লক করে বাঁধের কাজ সম্পুর্ন করা হলে সরকারের কোটি কোটি টাকা ভেস্তে যাওয়ার শংকা প্রকাশ করছেন তারা।
স্থানীয় বাসিন্দা ইয়াকুব আলী জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যে কাজটি চলমান রেখেছেন। তার মান অত্যান্ত খারাপ। তারা মনে করেছেন গ্রাম্য এলাকায় নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করে লাখ লাখ টাকা লুট করবে। বিষয়টি তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
কাজের জন্য প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের পাথর -তালাশ
সংশ্লিষ্ট কাজের সহযোগী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইজি ম্যাক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সাকিব তানিম অনিয়মের কথা অস্বীকার করে বলেন,‘আমরা নিয়মঅনুযায়ী সঠিক পাথরই ব্যবহার করি, এর বাহিরে যে পাথর ওখানে রাখা আছে সেগুলো বিক্রির জন্য রাখা হয়েছে।’
এদিকে নিম্নমানের সামগ্রি ব্যবহারের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ইতিমধ্যে অফিসিয়াল ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বরিশালের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জাবেদ ইকবাল এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,‘কাজটি যেহেতু নৌবাহিনীর তত্বাবাধায়নে রয়েছে, তাই ওই পাথরগুলো রিজেক্ট করার জন্য আমরা ইতিমধ্যে নৌ বাহিনীকে চিঠি দিয়েছি।’ এব্যাপারে নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন,‘কাজে অনিয়মের কোন সুযোগ নেই। ইতিমধ্যে আমরা নদী রক্ষা বাঁধের কাজে যে যে অনিয়ম পেয়েছি সবগুলোই বাতিল করেছি।’
উল্লেখ্য, বরিশাল জেলার সদর উপজেলার কীর্তনখোলা নদীর ভাঙন থেকে চরবাড়িয়া এলাকা রক্ষায় ১৯০.৯৫ কোটি টাকার প্রকল্পের আওতায় এই ব্লক নির্মাণের কাজ চলছে।
Design and developed by Engineer BD Network