ঢাকা ৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ২:৫৬ অপরাহ্ণ, জুন ৭, ২০২৩
তালাশ প্রতিবেদক ॥ মাদক সেবন ও অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য নিরাপদ স্থানে পরিণত হয়েছে বরিশাল নগরীর আবাসিক হোটেল চিল। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই হোটেলে ঘণ্টা চুক্তিতে রুম ভাড়া দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। হোটেল চিলে থামানো যাচ্ছেনা অসামাজিক কার্যকলাপ। প্রশাসনের অসাধু কতিপয় কর্তাব্যক্তিও সাংবাদিক নামধারী বিশেষ মহলকে ম্যানেজ করেই চলছে এ ধরণের কর্মযজ্ঞ। তাই প্রশাসনের অভিযানের সময়এ হোটেলের মালিকরা থাকে সম্পূর্ণ নিরাপদ। এদের বিরুদ্ধে নেয়া হয় না কোন আইনি ব্যবস্থা।
তবে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও কোতয়ালী থানার ওসি পরিবর্তনের পরে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এই হোটেল চিলের মালিক ও দালালরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীসহ সকল অবৈধ মেলামেশার নিরাপদ স্থান বর্তমানে বরিশাল নগরীর আবাসিক হোটেল চিল। চিহ্নিত পতিতাবৃত্তি করা এই হোটেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর নেই বললেই চলে। অভিযোগ রয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিয়ে ও চাকুরি প্রলোভনে ফুসলিয়ে বা অপহরণ করে নিয়ে আসা কিশোরী-তরুণী ও যুবতীদের হোটেলে আটকে রাখা হয় এবং ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাদের দিয়ে চালানো হয় রমরমা দেহ ব্যবসা। এছাড়াও এ হোটেলে প্রেমিক যুগলকে নাম-ঠিকানা এন্ট্রি ছাড়া রুম ভাড়া দিয়ে ব্লাকমেইলের মাধ্যমে আদায় করা হয় দ্বিগুণ-তিনগুণ টাকা। শুধু অনৈতিক কর্মকান্ড নয় এ হোটেলে বসে মাদকের আসর। এদের বেশিরভাগই নিরাপদে ইয়াবা সেবনের জন্য হোটেলের রুম ঘন্টা চুক্তিতে ভাড়া নেয়।
পোর্টরোডের এই হোটেল চিল নিয়ন্ত্রণ করে আল আমীন। প্রশাসনের হাতে একাধিকবার আটক হয়ে কারাভোগ করেও থামিয়ে রাখেনি এই ব্যাবসা। আল আমীন একসময় ছিলো পতিতাদের দালাল। কয়েকবার আটক হওয়ার পরে জড়িয়েছে মাদকের সাথে। এতেই রাতারাতি একটি হোটেলের মালিক বনে গেছেন তিনি গড়েছেন অঢেল সম্পদ। এমনই তথ্য জানালেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুরোনো হোটেল ব্যাবসায়ী।
এরই সূত্র ধরে আমরা উপস্থিত হোটেল চিলের সম্মুখভাগে। আমাদের ইশারায় ডাকলেন ১৫/১৬ বছরের এক নাবালোক মেয়ে। আমরা গলির ভিতরে ঢুকতেই দৌড়ে পালালেন ২/৩টি মেয়ে। এসময় উপস্থিত হোটেল মালিক আল আমীন। জানতে চাইলেন আমরা কারা? পরিচয় দিতেই ক্ষিপ্ত তিনি। কেনো আমরা তথ্য নিতে গিয়েছি। আমরা সাংবাদিক না যদি হই তাহলে তাকে ফোন দিয়ে বললেই তো অফিসে টাকা পাঠিয়ে দিতো। হয়তো তিনি জানেন না সাংবাদিকরা এমনটা করেনা।
তবে এমন ওপেনে কিভাবে ব্যাবসা করে জানতে চাইলে বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিকদের সামনে বলেন কোতয়ালী থানার ওসি আমার দুলাভাই, আরো প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আমার রিলেটিভ। সব হোটেল বন্ধ করে দিলেও আমারটা বন্ধ করবে না। তাদের দিয়েই আমি টিকে আছি। আপনারা লেখেন তাতে কিছু করতে পারবেন না।
এ বিষয়ে কোতোয়ালী থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি আল আমিনকে চিনি না। আর এই ব্যাবসা ওখানে চলে কিনা জানিও না। তবে যখন জেনেছি আমি তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেবো।
Design and developed by Engineer BD Network