ঢাকা ৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:৫২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১, ২০২৩
নিহতর মামা রাকিব হোসেন বলেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বান্দ রোড রাহাত আনোয়ার হাসপাতালে ভাগিনাকে ভর্তি করা হয়। দুপুর তিনটার দিকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। অপারেশনের কিছুক্ষণ আগে আমি ভিতরে প্রবেশ করি। আমি দেখতে পাই আমার ভাগিনার মুখে অক্সিজেন মাস্ক লাগানো। কিন্তু ভাগিনা কাত হওয়ায় তার মুখ থেকে অক্সিজেনের মাস্কটি খুলে যায়। ডাক্তারের কাছে বার বার বলি মাক্সটি মুখে দিতে। ডাক্তার মাক্সটি মুখে দিয়ে দেয়। কিন্তু অক্সিজেনের মাক্সটি মুখে দিলেও কোনো শ্বাস নিচ্ছে না। বিষয়টি দেখে আমার সন্দেহ হলে আমি ৯৯৯ নাম্বারে কল দিয়ে পুলিশের সহযোগিতা চাই। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসছে। তাদের সাথে কথা বলে কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
রাহাত আনোয়ার হাসপাতালে বিষয়টি শুনে সংবাদকর্মীরা তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে ঘটনাস্থল থেকে ডাক্তার পালিয়ে যায়। এবিষয়ে রাহাত আনোয়ার হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ কথা বলতে রাজি হননি।
এবিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন (পুলিশ কমিশনার) মোঃ সাইফুল ইসলাম, বিপিএম(বার) বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। আপনাদের কাছ থেকে বিষয়টি শুনছি। যদি এধরণের কোনো ঘটনা ঘটে তাহলে ভুক্তভোগী অভিযোগ দিলে, ডাক্তারের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, সরকারি ৯৯৯ নাম্বারের মাধ্যমে বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় রোগীর স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেন। বিষয়টি সম্পর্কে আমার উর্দ্ধতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলছি। নিহতের স্বজনরা অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বরিশাল সিভিল সার্জন ডাঃ মারিয়া হাসান বলেন, এধরণের কোনো ঘটনা আমার জানা নেই। যদি ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ দেয়। তাহলে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কমিটি গঠন করে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Design and developed by Engineer BD Network