ঢাকা ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ২:৫১ অপরাহ্ণ, মে ৭, ২০২০
তালাশ ডেস্ক :-
বাকেরগঞ্জের কলসকাঠী ইউনিয়নের হতদরিদ্রদের ভিজিডি কার্ডের ৩০ কেজি চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভিজিডি কার্ডের তালিকায়ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, ব্হস্পতিবার সকাল থেকে কলসকাঠী ইউনিয়নে হতদরিদ্র ভিজিডি কার্ডধারীদের ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ শুরু করে। বস্তা প্রতি ৩০ কেজি দেয়ার কথা থাকলেও গ্রাহককে দিচ্ছে ২৭-২৮ কেজি করে। এতে গ্রাহকদের মাঝে উত্তেজনা ও হট্রগোল দেখা দিলে ১১০ জনকে চাল বিতরণ করেই প্যানেল চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী জোমাদ্দার চাল বিতরণ বন্ধ রাখেন। ট্যাগ অফিসারের অনুপস্থিতিতেই ২৭-২৮ কেজি করে চাল বিতরণ করেন ইয়াকুব জোমাদ্দার।
সরেজমিন গিয়েও অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। শাশাহনাজ বেগম অভিযোগ করেন, সকাল থেকে অনেক সময় দাঁড় করিয়ে রেখে ২৮ কেজি চাল নিতে হয়েছে। তিনি জানান, সকাল থেকেই না মেপেই বস্তায় আগে থেকে প্যাকেট করা ২৭-২৮ কেজি করে চাল দেয়া শুরু করে। একই অভিযোগ করেন মজিবর মোল্লা, পাখি বেগম, সত্তার মল্লিক।
এছাড়াও ভিজিডি কার্ডের চাল বিতরণ নিয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী জোমাদ্দারের সাথে গ্রাহক মজিবর রহমান মোল্লার কথা কাটাকাটির অভিযোগও পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে মজিবর রহমান মোল্লা জানান, ট্যাগ অফিসারের অনুপস্থিতিতে কলসকাঠী ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী জোমাদ্দারের কাছে ভিজিডি কার্ডের চাল মাপে ৩০ কেজির স্থলে ২৮ কেজি দেয়ার বিষয়ে জানাতে গেলে তিনি আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করে উল্টো হুমকি দিয়ে পাঠিয়ে দেয়। তিনি অভিযোগ করে বলেন, কলসকাঠী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক তালুকদার মনুর মৃত্যুর পরে সম্প্রতি ইউপি সদস্য ইয়াকুব আলী জোমাদ্দার প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়ে তার নির্দেশে কার্ডের প্রকৃত মালিকদের মাঝে চাল মাপে কম দিয়ে বাকি চাল বিক্রয় করেন।
আবদুস সালাম নামে একজন অভিযোগ করেন, তার গত মাসের চাল না দিয়ে নিজেরাই কার্ডে টিপ-সই দিয়ে চাল নিয়ে নেন। পরে জানতে পারেন, তার চাল অন্য লোক নিয়ে গেছে। তাছাড়াও তার বিরুদ্ধে জেলেদের চাল বিতরণেও মাপে কম দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ৪০ কেজি চালের বিপরীতে তিনি জেলেদের মাঝে ৩৬-৩৭ কেজি করে চাল বিতরণ করেন।
প্যানেল চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী জোমাদ্দার জানান, ইউনিয়ন পরিষদের তালিকামতো গোডাউন থেকে বস্তা এনে চাল বিতরণ করি। গোডাউন থেকে চাল কম দেয়ায় আমাদেরও কম দিতে হয়। ট্যাগ অফিসার রবিউল আলম জানান, চালের বস্তায় চাল কম থাকার অভিযোগ ওঠায় বস্তা খুলে মেপে সমন্বয় করে চাল বিতরণ করতে বলেছি। বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাধবী রায় জানান, চাল কম দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।
Design and developed by Engineer BD Network