ঢাকা ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:০৬ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২৯, ২০২০
পশ্চিমবঙ্গ:
চেন্নাই (Chennai) থেকে ফিরেছেন পুরুলিয়া (Purulia) জেলার বাসিন্দা সাতজন শ্রমিক। এই অবস্থায় তাঁদের ১৪ দিন কোয়ারান্টাইনে থাকার কথা জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু বাড়িতে কোনও আলাদা ঘর নেই। তাই করোনা (Coronavirus) সংক্রমণ এড়াতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আইসোলেশনে (Isolation) থাকতে তাঁরা বেছে নিয়েছেন গাছকে! হ্যাঁ, আপাতত গাছেই আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। সেখানেই থাকবেন ১৪ দিন! ওই সাত শ্রমিক কাজ করতেন চেন্নাইয়ে। বাড়ি ফেরার আগে তাঁরা গিয়েছিলেন চিকিৎসকদের কাছে। তারপর চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে এই বৃক্ষবাসী হওয়ার সিদ্ধান্ত। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, চেন্নাই থেকে ফিরেছেন বলে আগামী ১৪ দিন কোয়ারান্টাইনে থাকতে হবে। এই পরিস্থিতিতে যা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু ওই শ্রমিকদের কারও বাড়িতেই যে নেই অতিরিক্ত ঘর! অতএব গাছে আশ্রয় নেওয়া ছাড়া তাঁদের আর উপায় ছিল না।
শ্রমিকদের অন্যতম বিজয় সিংহ লায়া বলছেন, ‘‘আমরা চেন্নাই থেকে এসেছিলাম। গাড়িতে করে বহরমপুর হয়ে এসেছি। আমরা সুস্থই আছি। কিন্তু চিকিৎসকরা বলে দিয়েছেন আগামী ১৪ দিন নিজেদের বাড়িতে কোয়ারান্টাইনে থাকতে এবং সকলের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতে। কিন্তু আমাদের বাড়িতে এমন কোনও আলাদা ঘর নেই। তাই আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিলাম এখানে থাকার।”
তিনি আরও বলছেন, ‘‘এখন আমরা আমাদের মতো আছি। সমস্ত নিয়ম মেনেই থাকব। সকালে আমাদের খাবার দিয়ে যাওয়া হচ্ছে। দুপুর ও রাতেও ভাত দিয়ে যাচ্ছে। জলের অভাব নেই। এখানে আমাদের কাছে স্টোভ রয়েছে, যাতে জল ফুটিয়ে খেতে পারি বা প্রয়োজনে রান্নাও করে নিতে পারি।”
আপাতত গাছেই বসবাস ওই সাত শ্রমিকের। গাছের ডালের সঙ্গে কাপড় বেঁধে তৈরি হয়েছে আস্তানা। করোনা সংক্রমণ এড়াতে এখানেই আগামী ১৪ দিন থাকবেন তাঁরা।
এদিকে শনিবার রাজ্যে ফের দু’জনের দেহে করোনা সংক্রমণের খবর মিলেছে । স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর রাজ্যে এখন মোট সংক্রমিত ১৭। জানা গিয়েছে, যে দু’জনের দেহে করোনা সংক্রমণের খোঁজ মিলেছে তাঁরা প্রবীণ নাগরিক। একজনের বয়স ৭৬, আর একজন ৫৬।
নয়াবাদের যে প্রৌঢ় সংক্রমণ নিয়ে বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, এই দু’জন তাঁর আত্মীয়।
Design and developed by Engineer BD Network