ঢাকা ৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:২১ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৭, ২০২০
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের মেডিসিন পুরুষ ওয়ার্ডে (ইউনিট-৩) চিকিৎসাধীন রোগীর শরীরে করোনার সংক্রামক শনাক্ত হওয়ায় ওয়ার্ডটিকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) রাতে ওই ইউনিটটির লকডাউন ঘোষণা করেন শেবাচিম হাসপাতাল পরিচালক ডাক্তার এইচএম বাকির হোসেন।
একইসঙ্গে এ ইউনিটে দায়িত্বপালনকারী সব চিকিৎসক-নার্সসহ সংশ্লিষ্টদের কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শেবাচিম থেকে জানা গেছে, গত ১৩ এপ্রিল তথ্য গোপন করে করোনার উপসর্গ ( জ্বর-কাশি ও শ্বাসকষ্ট) নিয়ে অজ্ঞান অবস্থায় এক বৃদ্ধ রোগীকে হাসপাতালের চারতলার মেডিসিন ওয়ার্ডের ইউনিট-৩ এর ভর্তি করেন স্বজনরা। এরপর ১৫ এপ্রিল (মঙ্গলবার) ওই রোগীর এক্সরে রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকদের সন্দেহ হলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে শেবাচিমের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে পাঠান।
এছাড়া ওই রোগীর নমুনা পরীক্ষার জন্য শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার রিপোর্ট আসে। সেই রিপোর্টে ওই রোগীর শরীরে করোনার সংক্রামক শনাক্ত হয়।
শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) সকালে লকডাউনের বিষয়টি নিশ্চিত করে হাসপাতালের পরিচালক ডা. এবাকির হোসেন জানান, ওই রোগীর করোনা শনাক্ত হওয়ায় শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান এবং ইউনিট প্রধানের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইউনিটটি লকডাউন করা হয়। পাশাপাশি ইউনিটে দায়িত্বপালনকারী ২৪ চিকিৎসক-নার্সসহ সংশ্লিষ্টদের কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। পুরো বিষয়টি সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) অবহিত করা হয়েছে। শেবাচিম হাসপাতালের অন্যান্য বিভাগে চিকিৎসাসেবা চলমান থাকবে বলেও জানান এই পরিচালক।
Design and developed by Engineer BD Network