ঢাকা ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ৭ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:০৩ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১৭, ২০২০
: সাংবাদিকদের তথ্য সংগ্রহে বাঁধা
: মামলা দেয়ার হুমকী
তালাশ প্রতিবেদক:
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হলেও ঘরোয়া কোচিং বাণিজ্যে অব্যহত। নগরীর ৪২নং পূর্ব রূপাতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো: মাসুদ খান ব্যাচ অনুসারে ঘরে বসে এই কোচিং পরিচালনার অভিযোগ। করোনা ভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যেও সকাল ৭টা থেকে ৯টা, বিকাল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই কোচিং বাণিজ্যে ব্যস্ত থাকেন তিনি।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে, গোপনে এমন কর্মকান্ড পরিচালনা হচ্ছে জেনে তথ্য সংগ্রহ করতে সাংবাদিকরা উপস্থিত হলে নিজেকে সাংবাদিক নেতার আত্মীয় পরিচয় দিয়ে তড়িঘড়ি করে স্থান ত্যাগ করেন তিনি। কিছুক্ষণ পরেই স্থানীয় বসবাসরত এক পুলিশ সদস্যকে নিয়ে ফিরে এসে তথ্য সংগ্রহে বাঁধা প্রদান করে এবং মামলা সহ বিভিন্ন ধরনের হুমকী দেয়া হয়। ঘরের মধ্যে প্রতি ব্যাচে ১০-১৫ জন করে শিক্ষার্থী নিয়ে কোচিং বাণিজ্যে ব্যস্ত থেকেও কোন স্বীকৃত অনুমোদনের সাইনবোর্ড ব্যবহার না করার দোহাই দিয়ে তিনি বলেন, দেখেন এটা কোচিং না, কোন সাইনবোর্ড আছে এখানে? এখানে যারা আসে সবাই আমার আত্মীয়।
এদিকে সম্প্রতী করোনা ভাইরাসে সারা বিশ্ব যখন আতঙ্কিত। যার প্রতিরোধ ব্যবস্থার অংশ হিসেবে, বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনায় দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হলেও কোমলমতি শিশুদের কোন সচেতনামূলক নির্দেশনা না দিয়ে নির্বিঘ্নে চলছে তার এই কোচিং বাণিজ্য।
বিদ্যালয় বন্ধ থাকাকালীন সময়ে করোনা নিয়ে এমন সর্তকতার মধ্যে এভাবে কোচিং কর্মকান্ড পরিচালনার বিষয় আদৌ ঠিক হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ৪২নং পূর্ব রূপাতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: ফিরোজ গাজী দৈনিক আজকের তালাশ প্রতিবেদক কে জানান, ব্যাপারটি আসেলই ঠিক না। করোনা ভাইরাসে এমন নিষেধাজ্ঞা থাকাকালীন সময়ে এ ধরনের কর্মকান্ড চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকি।
সাংবাদিকদের তথ্য সংগ্রহে বাঁধা ও অশোভনীয় আচরনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আপনার চলে যাওয়ার সাথে সাথে তিনি কোচিং বন্ধ করে দিয়েছে। আপনাদের সাথে এমন আচরণ ঠিক হয়নি। উনি ভূল করেছে, এবারের মতো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখুন। এরকম আর হবে না।
Design and developed by Engineer BD Network