সখীপুরে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ! মির্জাপুরে ধর্ষণ চেষ্টা! থানায় অভিযোগ॥

প্রকাশিত: ১:৩৭ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২৩, ২০১৯

সখীপুরে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ! মির্জাপুরে ধর্ষণ চেষ্টা! থানায় অভিযোগ॥

হাফিজুর রহমান. টাঙ্গাইল প্রতিনিধি॥
টাঙ্গাইলের সখীপুরে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ করে ঘরে আটক রেখে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার ছয়দিন পর শনিবার রাতে উপজেলার সাড়াশিয়া গ্রাম থেকে অপহৃতাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। রাতেই মেয়ের বাবা সুলতান আহম্মেদ বাদী হয়ে ছবুর (২৫) নামের এক যুবককে আসামি করে মামলা করেছে। ছবুর উপজেলার কচুয়া এলাকার হামিদুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কালিয়া ঘোনার চালা এলাকার নবম শ্রেণির এক ছাত্রী রাতের বেলায় ঘর থেকে টয়লেটে বের হলে তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায় ছবুর ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনার ছয় দিন পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার সাড়াশিয়া গ্রামের একটি বাড়ি থেকে অপহৃতাকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই রাতেই অপহৃতার বাবা বাদী হয়ে নারী শিশু নির্যাতন অইনে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা করেছ।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমির হোসেন বলেন, অপহৃতাকে উদ্ধার করে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অপরদিকে
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে জিয়াউর রহমান জিয়া নামে এক লম্পটের বির“দ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা মহেড়া ইউনিয়নের ভাতকুড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শনিবার ওই ছাত্রীর মামা বাদী হয়ে লম্পট জিয়ার বির“দ্ধে মির্জাপুর থানায় ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ করেছেন। জিয়াউর রহমান জিয়া (৪০) উপজেলার মহেড়া ইউনিয়নের ভাতকুড়া গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। সে এক সন্তানের জনক।
প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাবিব জানিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরের খাবার পর ওই ছাত্রী বাড়িতে একা ঘরে শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিল। এ সুযোগে লম্পট জিয়া ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার চালায়। এ সময় ছাত্রীর আর্তচিৎকারে তার নানী ও মামী এগিয়ে এলে সে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মোশারফ হোসেন জানান অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্তকে ধরতে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ