ঢাকা ৩১শে মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১১ই জিলকদ, ১৪৪৪ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২৬, ২০২২
হিজলা প্রতিবেদক ॥ বরিশালের হিজলা উপজেলার মেমানিয়া ইউনিয়নের খাগেরচর গ্রামের প্রবাসী মনির ঘরামির স্ত্রীর সাথে খাগের চর বাজারের ঔষধ ব্যবসায়ী মিলনের দীর্ঘদিন পরকিয়ায় আসক্ত হয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
যা চোখে পড়ে প্রবাসীর বাবা আব্দুর রশিদ ঘরামির। তখন তিনি ডাক্তার মিলন কে তার ছেলের বউয়ের কাছে আসতে বারণ করে। কিন্তু মিলন কোন কিছু তোয়াক্কা না করে অনৈতিক সম্পর্ক চালিয়ে যায়।
গত ৩০ জানুয়ারি রাত আনুমানিক ১১ টার দিকে প্রেমিকার ফোনে ছুটে যায় ওই বাড়িতে। এসময় পুত্র বধূ সাথে অনৈতিক কাজ করা অবস্থায় দেখে ফেলে শ্বশুর। তখন শশুর আস্তে আস্তে ঘরে ঢুকে ডাক্তার মিলনের চোখে মরিচের গুঁড়া মারে। মিলন যখন চোখ মুছতে ছিল ঠিক সেই মুহূর্তে তিনি রুমের কোনে থাকা গাবের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। যখন মৃত্য নিশ্চিত হওয়ার এক পর্যায়ে মৃতদেহ কে পায়ে রশি লাগিয়ে টেনে নিয়ে মেঘনা নদীতে ফেলে দেয়।
নিখোঁজের ঘটনায় নিহত মিলনের বড় ভাই সবুজ প্রবাসীর স্ত্রী রাহেলা বেগম ও তার শ্বশুর আব্দুর রশিদ ঘরামি সহ অজ্ঞাত ২/৩ জনের নামে হিজলা থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করে। সেই সুত্রোধরে হিজলা থানা পুলিশ সহ একাধিক আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দীর্ঘদিন তদন্তে শেষে মিলন ডাক্তার কে হত্যা বিষয়ে জানতে পেরে ২৫ জুলাই হিজলা থানার এস আই সোহাগ আসামিদেরকে থানায় আসতে বলে।
আসামিরা থানায় এসে অকপটে হত্যার স্বীকারোক্তি দিয়ে বলে আমার ছেলে বিদেশ থাকে ডাক্তার মিলন প্রায়ই রাতে আমার ছেলের বউয়ের ঘরে আসতো আমি ক্ষিপ্ত হয়ে পিটিয়ে ওকে মেরে লাশ নদীতে ফেলে দিয়েছে।
এদিকে নিহত মিলনের বড় ভাই সবুজ হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ বিচারের দাবি জানায়।
হিজলা থানার অফিসার ইনচার্জ ইউনুস মিয় জানান, এজাহারের উল্লেখিত ২ আসামী হত্যার স্বীকারোক্তি দিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ করেছে। এই ঘটনায় আরো যদি কেউ জড়িত থাকে তদন্ত সাপেক্ষে বেরিয়ে আসবে।
Design and developed by Engineer BD Network