দেশজুড়ে

কলাপাড়ায় রাকিবুল হত্যা-সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

  প্রতিনিধি ১২ আগস্ট ২০২১ , ২:১২:০৭ প্রিন্ট সংস্করণ

তানজিল জামান জয়,কলাপাড়া ।। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলামকে (২২) নৃশংসভাবে কুপিয়ে
হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসী ও তাদের নেপথ্যে মদতদাতাদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় কলাপাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের আয়োজনে পৌর শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বক্তব্য রাখেন কলাপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল হক, সহ-সভাপতি মেহেদি হাসান, মহিবুল্লাহ মুহিব, নিহত রাকিবুলের পিতা নাসির উদ্দিন মাদবর, মামী রুনা বেগম, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি আসাদুজ্জামান শুভ, এম বি কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি আসাদুজ্জামান হিরন, সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান অমি গাজী, ছাত্রলীগ নেতা রাহাত মৃধা, নাঈম রিমন, মিজানুর রহমান মুসা প্রমুখ। সভায় বক্তরা রাকিবুলকে হত্যার ঘটনায় জড়িত সকল সন্ত্রাসী ও তাদের মদতদাতাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে তাদের শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান। এর আগে গত বুধবার দুপুরে কলাপাড়ার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের তেগাছিয়া বাজারে
হাজারো মানুষের অংশগ্রহনে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য, গত ২৮ জুলাই রাতে মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক রাকিবুল ইসলামকে কুপিয়ে জখম করে তার ডান হাতের কব্জি কেটে ফেলে।

মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে সাইফুল ইসলাম রায়হান, লাবিব, নবী হোসেন, কামাল, জুলহাস, খলিল হাওলাদার, মাসুম হাওলাদার, জাকারিয়া জমাদ্দার, জাকারিয়া ইসলাম নিলয়, শান্তি রাঢ়ি, মিঠুন মাদবর, নজরুল মাদবরসহ ৭/৮ সশস্ত্র সন্ত্রাসী। পূর্ব বিরোধ ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হামলা চালায়। গত ২৯ জুলাই রাকিবুলের মা রাহিমা বেগম বাদী হয়ে উপরোক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এ ঘটনার ১০ দিন পর ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৭ আগষ্ট রাকিবুল মারা যায়।

কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রাকিবুল হত্যার ঘটনার মাষ্টারমাইন্ড রুবেল সিকদারসহ নয়ন বয়াতী, খলিল ও নোমানকে গ্রেফতারের পর জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে হামলায় ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র। মামলার অন্য আসামী ও তাদের সহযোগীদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।