দেশজুড়ে

জনগনের আশার আলো পাদ্রীশিবপুরের ছাত্র লীগ নেতা মিরাজ

  প্রতিনিধি ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১:৩৪:০১ প্রিন্ট সংস্করণ

 

তালাশ প্রতিবেদক ॥
মহামারী করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর সংক্রমণ এড়াতে গত ২৬ মার্চ থেকে সারাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় জনজীবন বিপর্যস্ত। দেশের অধিকাংশ জেলা-উপজেলা এখন লকডাউনের আওতায়। নি¤œ আয়ের মানুষেরা রয়েছেন দুবেলা-দুমুঠো সাহায্যের অপেক্ষায়। সমাজের কম সৌভাগ্যবান নাগরিকগণ জনপ্রতিনিধিদের সাহায্যের অপেক্ষায় আশা করে আছেন। প্রায় সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে এবং আত্মরক্ষার্থে নিজ ঘরে অবস্থান করছেন।বেশির ভাগ জনপ্রতিনিধি এবং নেতাকর্মীরা যখন হোম কোরাইন্টাইনে নিজেদের আত্মরক্ষায় ব্যস্ত। অনেক জনপ্রতিনিধির আনাগোনা দেখা গেলেও তারা খোঁজ রাখছেন না অসহায় জনগনের। অনেকেতো জনগনের জন্য দেয়া সরকারি ত্রাণ লুটপাটেও কুন্ঠা বোধ করছেন না। যা সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবাধে আমরা সবাই অবগত।এতসব হতাশার মাঝেও জনগনের আশার আলো হয়ে পাশে আছেন পাদ্রীশিবপুরের ছাত্র লীগ নেতা মিরাজ সব সময়-অসময় নেই সাহায্য-সহযোগীতা কিংবা সহমর্মীতা নিয়ে হাজির হন তিনি। কেউ বিপদে পড়েছেন স্বরন করা মাত্রই পাশে পাওয়া যাচ্ছে তাকে। কখনো ব্যাক্তি বা পরিবারে দুয়ারে কড়া নাড়ছেন সহযোগীতার হাত দিয়ে কখনো শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দূর্ভোগ লাঘবে কখনো আবার কিশোর তরুনদের মুখে হাসি ফুটাচ্ছেন ক্রীড়া সামগ্রী দিয়ে। পরউপকারী বিচিত্র এই মানুষটি বিশেষ কোন পরিচয় নেই,নেই জনপ্রতিনিধির তকমাও। শুধু মাত্র মানুষের উপকারের মানষে দূর্দসাগ্রস্থের মুখে সামান্য হাসি ফোটাতে সব সময় তৎপর থাকেন মাত্র একটি পরিচয়ে পরিচিত বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের সহ সভাপতি জাকারিয়া সোহেব মিরাজ। ছাত্রলীগের একজন সদস্য হয়ে মহামারী কিংবা সাধারন সময় হোক তিনি মানবতার যে পরিচয় বা স্বাক্ষ্য রেখেছেন তা বিস্তর প্রসংশনীয়। আর ছাত্রলীগের ইতিহাসে নিংসন্দেহে বিরল বটে। আসন্ন ইউপি নির্বাচনে বাকেরগঞ্জের পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়ন থেকে পরউপকারী সাদা সিদে রং ঢং বিহীন এই যুবককে চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চায় স্থাণীয় জনতা। গোটা ইউনিয়নবাসীর দাবী আওয়ামীলীগ থেকেই মনোনয়ন দেয়া হোক তাদের এই প্রানের মানুষটিকে। জানা গেছে, বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৩ নম্বর পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের নুরুল হক এর (রত্তন মাস্টার) ছোট ছেলে জাকারিয়া সোয়েব মিরাজ। ১৯৯০ সালে পড়াশুনার তাগিদে বাকেরগঞ্জ থেকে বরিশাল নগরীতে আসেন। ১৯৯১ সালে বরিশালে উদয়ন স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হন। ওই স্কুল থেকে ২০০২ সালে বিজ্ঞান বিষয়ে সুনামের সাথে এসএসসি পাশ করেন। ২০০২ সালে সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজে মানবিক শাখায় ভর্তি হয়ে ২০০৬ সালে সুনামের সাথে এইচএসসি পাশ করেন। তারপর ২০০৬ সালে ওই কলেজেই ডিগ্রীতে ভর্তি হয়ে ২০১১ সালে পাশ করেন। বর্তমানে জাকারিয়া সোয়েব মিরাজ সরকারি বরিশাল ‘ল’ কলেজে অধ্যায়ন আছেন। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, জাকারিয়া সোয়েব মিরাজ ২০০১ সালে ছাত্র রাজনীতিতে পা রাখেন। সেখান থেকেই ছাত্রলীগের বিভিন্ন মিছিল, মিটিং ও আন্দলোন সংগ্রামের সাথে নিজেকে রাজনীতির সাথে যুক্ত রাখেন। ছাত্র রাজনীতিতে ২০০৪ সালে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেন। পাশাপাশি ২০০৭ সালে সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের ছাত্রলীগের হাল ধরেন। তারপর ২০০৯ সাল হতে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০১৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। অপরদিকে, জাকারিয়া সোয়েব মিরাজ ছাত্র রাজনীতির পাশাপাশি বাংলাদেশ মানবধিকার কমিশন বরিশাল জেলা শাখার সদস্য ও বাকেরগঞ্জ উপজেলার মানবধিকার কমিশনের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে কাজ করে আসছেন। বরিশালের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার উচ্চপদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া বরিশাল ও বাকেরগঞ্জে বিভির্ন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে সর্বদা নিজেকে নিয়যুক্ত রাখেন মিরাজ। মিরাজ বলেন পাদ্রীশিবপুর বাসী চাইলে এবং দল তথা অভিভাবক নেতাদের সমর্থন থাকলে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন। তিনি বলেন মানুষের পাশে থাকার ইচ্ছা থাকলে এমনিতেই থাকা যায়। তবে সে কাজটা একজন জনপ্রতিনিধির জন্য অনেক সহজতর হয়। কারন তার জন্য তখন সেটা মৌলিক ও নীতিগত দায়িত্ব হয়ে দাড়ায়। আমি সে দায়িত্ব নিয়ে পাদ্রীশিবপুরের জনগনের পাশে থাকতে চাই।

আরও খবর

Sponsered content