Uncategorized

ধূলখোলায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জমি দখলের অভিযোগ

  প্রতিনিধি ৫ আগস্ট ২০২০ , ৯:৫৫:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ

মেহেন্দিগঞ্জের সীমান্তবর্তী হিজলা ধূলখোলা ইউনিয়নে জোরপূর্বক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগকারী হাফেজ মোঃ শাহজাহান রাড়ী জানান, হিজলা উপজেলাধীন ধূলখোলা ইউনিয়নের জে.এল ১৩৭, মৌজা-পালপাড়া, এস.এ খতিয়ান নং ৩৮৪, এস.এ ৪০৩৬নং দাগের ৫ শতাংশ জমি তারা পূর্বপুরুষ থেকে মালিকানা হিসাবে ভোগ-দখল করে আসছেন।

 

এরই ধারাবাহিকতায় তার বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা কাঞ্চন আলী রাড়ী বিগত প্রায় ২২ বৎসর পূর্বে ১৯৯৮ সনে একই এলাকার নদী ভাঙ্গনি অসহায় পরিবার হিসাবে আঃ জলিল আখন, পিতা-মৃতঃ পাঞ্চত আলী আখন-কে কয়েক মাসের জন্য থাকতে দিয়েছিলেন। কিন্তু আঃ জলিল আখন কিছুদিন বসবাস করার পর অসৎ উদ্দেশ্য হাছিলের জন্য এক পর্যায়ে নিজেরাই জমির মালিকানা দাবী করে বসেন। বিষয়টি নিয়ে উভয়ের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হলে ২০০৬ সনে স্থানীয় ভাবে সালিশ মিমংসার মাধ্যমে আঃ জলিল আখন-কে ৪০ হাজার টাকা দেওয়ার বিনিময়ে আঃ জলিল আখন উক্ত জমির দখল ছেড়ে অন্যত্র চলে যাবেন মর্মে সিদ্ধান্ত হয়।

 

তখন আঃ জলিল আখন উপস্থিত সালিশগণের কাছে কিছুদিন পরে তার মেয়ের বিয়ের কথা বলে একমাসের সময় প্রার্থনা করেণ। উপস্থিত সালিশগণ মানবিক বিবেচনায় তাকে একমাসের সময় দেন। কিন্তু আঃ জলিল আখন একমাস সময় অতিবাহিত হওয়ার পর আজকাল বলে কালক্ষেপন শুরু করেণ এবং অদ্য পর্যন্ত উক্ত জমিতে জবরদখল করে বসবাস করছেন। এমতাবস্থায় আঃ জলিল আখন হঠাৎ করে উক্ত জমি স্থায়ী দখলের নিমিত্তে পাঁকা স্থাপনা নির্মান কাজ শুরু করেণ। এই মর্মে হাফেজ মোঃ শাহজাহান রাড়ী, পিতা-মৃতঃ আলহাজ্ব আঃ রাজ্জাক রাড়ী বাদী হয়ে অবৈধ দখল ও নির্মান কাজ বন্ধে হিজলা থানায় একখানা অভিযোগ দায়ের করেণ।

 

অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে পরিদর্শন করেন হিজলা থানার এ.এস.আই মিনুল ইসলাম এবং বিষয়টি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত নির্মান কাজ বন্ধ রাখতে বলেন। অভিযোগ আছে থানা পুলিশ সরেজমিন রিদর্শন করে চলে যাওয়ার পর অদৃশ্য শক্তির ইশারায় পুনরায় নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন আঃ জলিল আখন গং। সরেজমিনে পরিদর্শনকালে যার সত্যতা পাওয়া গেছে।

 

একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জমি এভাবে অবৈধ ভাবে জবরদখল করে পাঁকা স্থাপনা নির্মান করায় এলাকাবাসীর মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হওয়ায় যেকোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে। এবিষয়ে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্থক্ষেপ কামনা করছেন জমির মালিক ভূক্তভোগী হাফেজ মোঃ শাহজাহান রাড়ী।

আরও খবর

Sponsered content