Uncategorized

 পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ ব্রিজ যেন মরণ ফাঁদ!

  প্রতিনিধি ৪ অক্টোবর ২০২০ , ৭:৫৬:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ

তালাশ প্রতিবেদক –

পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার ১নং মাধবখালী ইউনিয়নের ৯নং সন্তষপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন খালের উপর নির্মিত আয়রণ ব্রিজের ঢালাই খসে এখন কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের জন্য মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে।

স্কুলে যাতায়াতের জন্য ওই ব্রিজটি একমাত্র ভরসা।তাই প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের ব্রিজ পারাপার হতে হচ্ছে।স্থানীয়রা জানান, স্কুলগামী শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়দের চলাচলের জন্য এলজিইডি বিভাগে (ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যম) থেকে স্কুল সংলগ্ন খালের উপর আয়রণ ব্রিজ নির্মান করার পর থেকে অদ্যবর্ধি সংস্কারের জন্য কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।ফলে ব্রিজের ঢালাই খসে রড বের হয়ে রেলিংসহ আয়রণ স্ট্রাকচার মরিচা ধরে ভেঙ্গে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরেছে।

ঝুঁকিপূর্ণ ও একমাত্র ওই ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার স্কুল-কলেজের এবং সাধারন জনগন বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। ব্রিজ দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা। স্কুল সভাপতি শহজাহান হাওলাদার বলেন, ব্রিজটি সংস্কারের জন্য আমরা একাধিকবার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও এলজিইডি বিভাগকে জানিয়েছি।
কিন্তু এখন পর্যন্ত ব্রিজটি সংস্কার বা পুননির্মান করা হয়নি।তিনি আরো জনান, গত মাসে স্থানীয় এক দিউ বছরের শিশু ব্রিজ থেকে পরে গিয়ে মারা যায়।আমরা চাই ব্রিজটি অতি দ্রুত সংস্কার কর হোক।

এ বিষয়ে ১নং ইউনিয়ন ইউপি সদস্য লিয়ন শিকদার জানান, ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্বেও প্রতিদিন কয়েকশ ছাত্র-ছাত্রী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া করছে। তিনি আরও জানান, স্কুলে আসার একমাত্র ওই ব্রিজটি জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করা না হলে কিছুদিনের ন্যায় আবারো যেকোন সময় বড় কোন দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে।

এ ব্যাপারে মাধবখালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম তালুকদার জানান, ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে রয়েছে সে বিষয়ে তারা অবগত রয়েছেন।ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে প্রায় ছয় মাস পূর্বে পটুয়াখালী প্রকল্প কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল হাই এর কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছিলাম কিন্তু করোনার কারনে কাজটি একটু ধীরগতি হয়ে পরেছে।খুব শিঘ্রই ব্রিজটি ভেঙ্গে নতুন ব্রিজ নির্মানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

আরও খবর

Sponsered content