অপরাধ

বকেয়া বিদ্যুৎ বিলঃ বরিশাল জেলা পরিষদের বন্ধ কক্ষে চলে এসি-ফ্যান-লাইট

  প্রতিনিধি ২৬ এপ্রিল ২০২৩ , ৩:৩২:৩৭ প্রিন্ট সংস্করণ

তালাশ প্রতিবেদকঃ বিদ্যুতে দীর্ঘদিন ভর্তুকি দেওয়া সম্ভব নয়। তাই বিদ্যুৎ ব্যবহারে সকলকে সাশ্রয়ী হতে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি সংযুক্ত হয়ে ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও মডেল মসজিদ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর এ অনুরোধ যেন মানতে নারাজ বরিশাল জেলা পরিষদের কর্মকর্তারা। এমন চিত্র দেখা যায় বরিশাল জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে থাকা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম মহিউদ্দিন কবির মাহিনের অফিস কক্ষে।

আজ বুধবার (২৬ এপ্রিল) সকাল থেকে তথ্য সংগ্রহের জন্য দীর্ঘ দুই ঘন্টা ওই কর্মকর্তার জন্য তার কক্ষের সামনে অপেক্ষায় ছিলেন বিভিন্ন গনমাধ্যমের সংবাদকর্মীরা। এই দীর্ঘ সময়ে ওই কর্মকর্তা না আসলেও তার কক্ষের এসি, লাইট ও ফ্যান চলতে দেখা যয়।

কর্মকর্তা না থাকলেও রুমের এসি ফ্যান লাইট চলতে দেখে জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুস ছালাম আকনের কাছে জানাতে চাইলে তিনি নিরব ভূমিকা পালন করেন। তার কাছে কোন সদুত্তর না পেয়ে জেলা পরিষদের চেয়্যারম্যান একে এম জাহাঙ্গীরের সাথে কথা হয় মুঠোফোনে। এ সময় তিনি বলেন- সবাই যদি আপনাদের মত সচেতন হত তাহলে দেশে বিদ্যুতের ঘাটতি হতনা। আমি বিষয়টি দেখছি।

এর কিছুক্ষনের মধ্যে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের রুমের দায়িত্বে থাকা আনিস সিকদার ওই রুমের এসি, লাইট ও ফ্যান বন্ধ করার জন্য আসেন। এ সময় উপস্থিত সংবাদকর্মীরা তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন- স্যার আসবে না তাই রুমের এসি বন্ধ করতে আসছি।

এর কিছুক্ষনের মধ্যেই উপস্থিত হন বরিশাল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যন একেএম জাহাঙ্গীর। জেলা পরিষদের দ্বিতিয় তলায় এসেই তিনি এক জনের নাম ধরে ডাক দেন। ডাক দিয়ে তিনি বলেন, ফ্যান চলে এসি চলে লাইট জলে বিল কি তোমার বাবার পয়াসা দিয়ে দেও। তোর বাবা দেয় পয়সা। দায়সারা এসব কথা বলে তিনি তার কক্ষে চলে যান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা পরিষদের এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাহী স্যারে অফিস কক্ষে থাকুক আর না থকুক তার রুমের এসি, লাইট ও ফ্যান প্রায়শই চলতে থাকে।

এ বিষয়ে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষের দায়িত্বে থাকা আব্দুল করিমের কাছে মোবাইল ফোনে জানাতে চাইলে তিনি আজকের তালাশকে বলেন- আমি ছুটিতে আছি, আমি কিছু বলতে পারবো না।

এ বিষয়ে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে কথা হয় সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন বরিশাল জেলা কমিটির সদস্য সচিব কাজী এনায়েত হোসেন শিবলুর সাথে। এ সময় তিনি বলেন, বিদ্যুৎ সংকট নিয়ে সরকার এখন চ্যালেঞ্জের মূখে। সংকটের এ অবস্থায় একজন প্রতিষ্ঠান প্রধান যদি অপ্রয়োজনে বিদ্যুতের অপচয় করে সেটি মোটেই কাম্য নয়। বিষয়টি নিন্দনীয়। তবে যদি প্রয়োজনে ব্যবহার করে তাহলে সেটি ঠিক আছে।

বরিশাল ওজোপাডিকোর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ এর তথ্য মতে গত তিন মাসের ৫৫ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে বরিশার জেলা পরিষদের কাছে। ওজোপাডিকোর ফিডার ইনচার্য ফকরুল আলম আজকের তালাশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আরও খবর

Sponsered content