সকল বিভাগ

বাকেরগঞ্জে গৃহবধুকে নির্যাতনের মামলায় ব্রাকের কর্মী শামসুন্নাহার বিথী গ্রেফতার

  প্রতিনিধি ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ১১:৫৭:৫৫ প্রিন্ট সংস্করণ

যৌতুকের দাবিতে গৃহবধুকে নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ননদ শামসুন্নাহার বিথী ওরফে বিথী বেগম (২২) কে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত সোয়া ১ টার দিকে তাকে বরিশাল নগরের চাঁদমারী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

 

গ্রেফতারকৃত বিথী বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ভরপাশা এলাকার বাসিন্দা ও মামলার দুই নম্বর আসামী মোঃ মুনসুর আলী হাওলাদারের মেয়ে এবং ব্রাক বাকেরগঞ্জ শাখার কর্মী। যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের ওই মামলায় গ্রেফতার বিথীর স্বামী নাসির হাওলাদার (৩০),বাবা মুনসুর আলী হাওলাদার (৫৫), মা মোসাঃ সেতারা বেগম (৪৭)এবং গ্রেফতার বিথীর ভাই ও নির্যাতিতরা স্বামী মোঃ মিজানুর রহমান আসামী রয়েছেন।

 

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাকেরগঞ্জ থানার এসআই মাহাবুব বলেন, ২০০০ সালের সংশোধিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১ (খ)৩০ ধারায় দায়ের হওয়া মামলায় ব্রাকের এইচ এন পি পি প্রোগ্রামের ফিল্ড অফিসার শামসুন্নাহার বিথী ওরফে বিথী বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হবে। বাকী আসামীদেরও গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

 

ব্রাকের এইচ এন পি পি প্রোগ্রামের ফিল্ড অফিসার শামসুন্নাহার বিথীকে গ্রেফপ্তারের বিষয়ে ব্র্যাকের বরিশাল জেলা সমন্ময়কারী বিভাস চন্দ্র তরফদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান ব্র্যাক নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে কাজ করছে আর ব্র্যাকের মত প্রতিষ্ঠানে কাজ করে এধরনের অপরাধের সাথে জড়িত হয় তদন্তে প্রমানিত হলে ব্র্যাকের চাকুরি বিধিমালা অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেয়া হবে ।

 

যদিও মামলা কিংবা গ্রেফতারের বিষয়ে আমি এখনও কিছু জানি না শনিবার শামসুন নাহার বিথী কর্মস্থলে অপুস্থিত থাকলে তার বিষয়ে কৈফিয়ত তলব করা হবে এবং তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে ।তদন্ত কমিটির রির্পোট এর ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ।

 

মামলা সূত্রে জানাগেছে, বাকেরগঞ্জ উপজেলার দেউলী গ্রামের মোঃ মীর আয়নাল হক ওরফে আয়নাল হোসেনের মেয়ে শিরিন আক্তারের সাথে মিজানুর রহমানের ২০১৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি বিবাহ হয়। মেয়ের স্বামী মিজানুর রহমান ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়ায় পল্লী বিদ্যুতের লাইনম্যান হিসেবে চাকুরিরত থাকলেও বেশিরভাগ সময় বাকেরগঞ্জে থাকে। কিছুদিন পূর্বে শিরিন আক্তারের গর্ভে ৭ মাসের সন্তান আসলেও তা স্বামী মিজানুর রহমানের নির্যতন আর অবহেলায় নষ্ট হয়ে যায়।

 

বাদী এজাহারে উল্লেখ করেছেন মামলার ৫ জন আসামী পরষ্পর যোগসাজেশে গত ৬ মাস ধরে ৩ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে তার মেয়ে শিরিনের ওপর শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে। সর্বোশেষ গত ২৫ আগষ্ট সবাই মিলে শিরিনকে বেধম মারধর করে। যা পরের দিন সকালে বাদী জানতে পেরে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেহ হাসপাতালে ভর্তি করে। নির্যাতিতার চিকিৎসার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর বাদী বাকেরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

আরও খবর

Sponsered content