Uncategorized

মহিপুর বন বিভাগের জমি অবৈধভাবে দখল করে ঘড় তোলার অভিযোগ

  প্রতিনিধি ২০ নভেম্বর ২০২০ , ৭:০৪:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ

শামীম ওসমান হীরা :-
মহিপুর বিট অফিসের সামনের রাতের আধারে ঘড় তুলছে ক্ষমতাশীল দলের প্রভাবশালী মহল এ. আর ফিস নামে একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। মহিপুর ভূমি অফিসের কর্মকর্তাকে অবৈধ পন্থায় সন্তুষ্টি করে এ দখল বাণিজ্য চলছে বলে স্থানীয়দের নিকট হতে জানা যায়। তবে, মহিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের দাবী ডি,সি,আর ছাড়া কোন জমি দখল হচ্ছে না।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহিপুর মৎস্যবন্দরে ঢুকে কিছুদুর গেলে একটি কালভার্টের পরেই বনবিভাগের বিট অফিসের সাইনবোর্ড দেখা যায়। তার বিপরীত পাশেই শিববাড়িয়া নদী সংলগ্ন বন বিভাগের দাবী চলমান সর্বশেষ বি.এস রেকর্ড অনুযায়ী বিট অফিসের সীমানা হতে বনবিভাগ মোট ১৬ শতাংশ জমির দাবীদার। অথচ স্থানীয় ভূমি উক্ত জমি তাদের দাবী করে ডিসিআর মতে দোকান-ঘড় তোলার অনুমতি দিয়ে আসছে।
এনিয়ে মহিপুর ভূমি অফিস ও বনবিভাগ মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। স্থানীয় কতিপয় অসাধু প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ভূমি অফিসের সাথে আতাত করে অবৈধ পায়দা লুটছে বলে স্থানীয় সচেতন মহল দাবী করেন। তাদের মতে, মহিপুরে শুধু বন বিভাগের জায়গা ছাড়াে রাতের আধারে এভাবে বেশ কিছু অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠে যার কোন সঠিক প্রতিকার পাওয়া যায় না।
মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা এবিষয়ে মহিপুর থানায় সাধারন ডায়রী করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না বলে জানা যায়। সেখানে রাসেল আকন নামের স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যাক্তি রাতের আধারে ঘড় তুলে এ. আর ফিস নামে একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। জমি দখল ও ডিসিআর এর বিষয়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিক ও মহিপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার নিকট হতে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে। প্রতিষ্ঠানের মালিকের রাসেল আকন জানায়, ২০১৯ সাল পর্যন্ত তার ডিসিআর নবায়ন করা আছে। অথচ ভূমি সহকারী জানায়, ২০২২ সাল পর্যন্ত উক্ত জমির ডিসিআর নবায়ন রয়েছে। প্রকৃত সত্য কোনটি সে বিষয়ে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। কাগজ দেখতে চাইলেও কথা এরিয়ে যায়।
এবিষয়ে এ.আর ফিস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী মো. রাসেল আকন বলেন, এ জমিতে আমার ডিসিআর কাটা আছে। ২০১৯ সাল পর্যন্ত ডিসিআর নবায়ন করা আছে। এছাড়াও সেমি পাকা ঘড় তোলার বিষয়ে পটুয়াখালী ডিসি অফিসের অনুমতি রয়েছে।
মহিপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. আজিজুর রহমান জানান, বনবিভাগ যে জমি তাদের বলে দাবী করছে প্রকৃতপক্ষে সে জমি ভূমি অফিসের। ওখানে বাণিজ্যিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করার অনুমতি রয়েছে। যারা ঘড় তুলছে তাদের ২০২২ সাল পর্যন্ত ডিসিআর নবায়ন করা আছে।

মহিপুর বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, বনবিভাগের জমিতে মহিপুর ভূমি অফিস তাদের জমি বলে অবৈধভাবে ঘড় তুলতে অনুমতি দিচ্ছে। তাদের জমি হলে তারা দিনের বেলায় ঘড় না তুলে রাতের আধারে ঘড় তুলবে কেনো? আমি এবিষয়ে মহিপুর থানায় একটি সাধারন ডায়রী করেছি। এছাড়াও আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করে রেখেছি।

আরও খবর

Sponsered content