Uncategorized

লঞ্চের টিকিটে কালোবাজারিদের অপতৎপরতা!

  প্রতিনিধি ১২ মার্চ ২০২৩ , ৩:৩৬:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ

তালাশ প্রতিবেদক ॥ স্বপ্নের পদ্মা সেতু হলেও দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের নৌযাত্রার পূর্বের চিরচেনা যাত্রীদের পকেট কেটে হয়রানি বন্ধ হয়নি। পূর্বের ন্যায় এখনো বেশ কয়েকটি দালান সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে প্রতিনিয়ত যাত্রীদের পকেট কেটে হয়রানি করে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। অভিযোগের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রায় লঞ্চের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে গোপন সক্ষতায় জরুরী মূহুর্তের আগামবার্তায় দালাল সিন্ডিকেট চক্র টি তাদের নামে বেনামে অগ্রিম টিকিট বুকিং দিয়ে রাখে। যার ফলে যাত্রীদের প্রায় দ্বিগুণের বেশি অর্থ ব্যয় করে লঞ্চের কেবিনের টিকিট দালাল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ক্রয় করতে বাদ্ধ হতে হচ্ছে একপ্রকার নিরুপায় হয়ে।

 

দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে ঢাকা গামী যাত্রীরা লঞ্চ যাত্রা থেকে অনেকটাই মূখ ফিরিয়ে নিয়েছিলো।লঞ্চ ব্যবসায় ধ্বস নামার উপক্রম ঘটলে লঞ্চ মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে বাসমালিক সমিতির গোপন আলোচনা সাপেক্ষে গোপন চুক্তি সম্পাদন হয় বলে গোপন সূত্র থেকে যানা গেছে।যে কারনে পদ্মা সেতু হলেও দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের সুবিধার থেকে ভোগান্তি পোহানোর চিত্র প্রকাশ পায় প্রায় সময়ই। কারন ছাড়াই হুটহাট করে তুচ্ছ সামান্য ইস্যুতেও মাসে দু একবার ধর্মঘটের ঘটনা বরিশালে এখন নিত্য দিনের চিরচেনা ঘটনায় রুপ নিয়েছে। নামে কতৃপক্ষ হলেও তারাও ক্ষমতাধর নেতার ইশারায় নিরব ভূমিকা পালন করতে বাদ্ধ হচ্ছে বলেও নাম না প্রকাশের শর্তে বিআইডব্লিউটিএর একাধীক কর্মকর্তা কর্মচারীরা যানান।

 

সরেজমিনে দেখা যায়, কয়েকটি চক্র টিকিটের কালোবাজারি প্রকাশ্যেই করে থাকে। অভিযোগ রয়েছে তাদের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে লঞ্চের টিকিট কাউন্টারের কর্মচারীরা। তারা নামে-বেনামে কেবিন বুকিং করে স্লিপ সংগ্রহ করেছে। পরে টিকিট সংগ্রহ করে মূল ভাড়ার দ্বিগুণ-তিনগুণ মূল্যে সেগুলো বিক্রি করে অতিরিক্ত মুনাফা লুটে। আর মাঝখানে পকেট কাটা যাবে যাত্রী সাধারণের। পাশাপাশি ভোগান্তির শিকার তো হতে হবেই।

 

যানজট ঠেলে, অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে লঞ্চে উঠলেও তাদের ভোগান্তির শেষ হয় না। পরিবার-পরিজন নিয়ে নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারে না। এসব অনিয়ম দেখভাল করার দায়িত্ব বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিটিএ)। কিন্তু তাদের তেমন কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। গণমাধ্যম কর্মীরা জানতে চাইলে, ‘অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব’, ‘ব্যবস্থা নেওয়া হবে’, ‘ব্যবস্থা নিচ্ছি’- এমন দায়সারা জবাব মেলে।

 

লঞ্চ টার্মিনালের ভিতরে বসেই চলছে এসব কালোবাজারিদের যাত্রীদের পকেট কাটার মহা উৎসব, টার্মিনালের সিসি ক্যামেড়া ফুটেজ ঘাটলে যার সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যাবে। পদ্মা সেতু হওয়ার পরে লঞ্চের প্রতি মানুষের অনিহা সৃষ্টি হয়েছিলো। এখন আবার লঞ্চে যাত্রী চাপ বারলেও এই শিল্পকে ধ্বংশ করতে চাচ্ছে টিকিটের কালোবাজারিরা। তেমনি এক ঘটনার জন্ম দেয় বরিশাল সদর ঘাটের দালাল।

 

গতকাল রুপাতলির বাসিন্দা আসিব ইসলাম একটি সিংগেল কেবিনের জন্য লঞ্চ ঘাটে জায়। পারাবাত লঞ্চের সামনে থাকা এক দালাল তাকে সিংগেল কেবিনের জন্য ১৮শ টাকা দাবি করে। যেখানে এক্টি সিংগেল কেবিন ১ হাজার টাকা মূল্য। কোনো লঞ্চে কেবিন না থাকার কারনে তাদের দাবিকৃত মূল্যে টিকেট নিতে হয়।

 

লঞ্চের টিকিট কালোবাজারি বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে বলে আমাদের প্রত্যাশা। টিকিট কালোবাজারির চক্রকে খুঁজে বের করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।এরকম ভোগান্তির শিকার হওয়া একাধিক যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, জাতীয় পরিচয় পত্রের মাধ্যমে লঞ্চের কেবিনের টিকিট বুকিং এবং সে অনুযায়ী যাত্রীদের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে লঞ্চের কেবিন প্রদান করা হলে বিগতদিনে ঘটা লঞ্চের কেবিনে হত্যা সহ নানান রকমের অপরাধ কমে যাওয়া সহ যাত্রীদের ভোগান্তি কমবে বলেও জানান। এ বিষয় যথাযথ আইনের কঠোরতার সাথে বিষয়টি বিবেচনায় নিলে সাধারণ জনগন উপকৃত হবে বলেও আশা করেন তিনি।

আরও খবর

Sponsered content