সকল বিভাগ

হিজলায় এক নারীকে নিয়ে এলাকাজুড়ে আতঙ্ক!

  প্রতিনিধি ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ১:১১:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ

হিজলা প্রতিবেদক ॥ ‌ বরিশালের হিজলা উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের পত্তনী ভাঙ্গা গ্রামের হাবিব সরদারের স্ত্রী সালমার আতঙ্কে গোটা পত্তনী ভাঙ্গা এলাকা।

 

সন্ত্রাসী সালমার মামলার শিকার বর্তমান ইউপি সদস্য হারুন সরদারের বিরুদ্ধে দুটি মামলা।

 

সালমার স্বামীর দুই ভাই হেলাল ও রুবেলের বিরুদ্ধে চারটি মামলা করেছে। প্রতিবন্ধী সবুজ মাস্টারের বিরুদ্ধে ১৩ টি মামলার বাদী সালমা।

 

সালমা বাড়িতে মুরগির খামার দিয়ে পার্শ্ববর্তী মূলাদি বাজারের এক ব্যবসায়ীর দেড় লক্ষ টাকার মালামাল বাকিতে ক্রয় করে। ওই ব্যবসায়ি টাকার তাগাদা দিলে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে বিষয়টি সহকারী পুলিশ সুপার মতিউর রহমান টেবিলে আলোচনা হয়েছে।

 

এরই মধ্যে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে সালমা একই এলাকার শামসুল হক সর্দারের ৪০ বছর দখলের আশিস শতাংশ জমি দখল করে নেয়।

 

এখানেই ক্ষান্ত হয়নি সালমা ধান কাটার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করে প্রাক্তন মেম্বার আব্দুল জলিল, ইউনুস মাস্টার ও ইউসুফ মাস্টারের নামে। সে থেকেই বেপরোয়া হয়ে ওঠে সালমাও তার স্বামী হাবিব ফিরতে হয়নি পিছনে। সালমার ধর্ষণ মামলা থেকে রক্ষা পায়নি তার শশুর এলাকার সকলের প্রিয় শিক্ষক আব্দুর রশিদ।

 

 

হিজলা মুলাদি মধ্যবর্তী এক সময়ে রাক্ষসী নয়াবঙ্গলি নদীর ভাঙ্গনে ক্ষতবিক্ষত এলাকার মানুষ এখন দিশেহারা। যেখানে রয়েছে বিরোধীয় ভূমি সেখানেই রয়েছে সালমা ভূমি নিজের নামে কোনরকম সাদা কাগজে চুক্তি করে ওই জমি দখল করে নেয় এলাকার কেউ তার সামনে মুখ খুলতে পারে না।

 

এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ জানান, তার বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে নিঃসন্দেহে মামলা দিবে যার কারণে সালমা যা ইচ্ছে তাই করছে। ইউপি সদস্য হারুন সরদার দুঃখ প্রকাশ করে জানায় তিনি নির্বাচিত ইউপি সদস্য হয়েও সালমার মামলা থেকে রক্ষা পায়নি। তিনি আরো বলেন সাবেক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে সালমা মামলা দিয়েছিল তাহলে সাধারণ মানুষের অবস্থা কোথায়।

 

এ বিষয়ে সালমা জমি দখল এবং বিভিন্ন মানুষকে হয়রানি মূলক মামলার বিষয়ে এড়িয়ে গিয়ে বলে প্রতিবন্ধী সবুজ মাস্টারের যতটুকু জমি বেশি দখল করেছে তাতে কাজ করা বন্ধ রেখেছে ‌। তবে এলাকার নিরীহ জনগণ জানতে চায় কোন শক্তির ইশারায় সালমা এতটা বেপরা তাদের দাবি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের হত্যকক্ষের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জানমালের সুরক্ষা দেয়ার।

হিজলা থানার অফিসার ইনচার্জ ইউনুস মিয়া বলেন, সালমা এতটা ব্যাপার তার জানা নেই। তবে কেউ এ সকল বিষয়ে অভিযোগ করলে তা আমলে নেয়া হবে।

এ বিষয়ে সরকারি পুলিশ সুপার মতিউর রহমানএর সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন, দু-একটি বিষয়ে তার জানা আছে। তিনি আরো বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগগুলো তার কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য।

আরও খবর

Sponsered content