প্রতিনিধি ১১ জুলাই ২০১৯ , ১০:৫৭:৪৫ প্রিন্ট সংস্করণ
হাফিজুর রহমান.টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি ॥
এশিয়া মহাদেশের তৃতীয় বহৎ শাল গজারির বনাঞ্চল টাঙ্গাইলের মধুপুর গড়াঞ্চল। এ বনের কিছু সংখ্যক জায়গা বর্তমানে স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের লোকজন জবর দখল করার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে আতংষ্কে দিন কাটাচ্ছে উপকার ভোগীরা।
মধুপুর বনের জাতীয় উদ্যানের রাজাবাড়ী বিটের আওতাধীন কিছু বনের জায়গা জবর দখল করার অভিযোগ করেন প্লট উপকার ভোগীরা । উপকার ভোগীরা বনদস্যু দের অত্যাচার ও হুমকির কারনে উচ্ছেদ আতংষ্কে দিন কাটাচ্ছে।
বনের জায়গা প্লট উপকার ভোগী মধুপুর উপজেলার বেরীবাইদ ইউনিয়নের উপজাতি বীনেশ হাগিদগ,বিনীতা, সুরেলা রেমা, মোসলেম, শাজাহান সহ আরো অনেকে অভিযোগ করে জানান, স্থানীয় ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার কাঠালিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নান খন্দকারের ছেলে বাদশা খন্দকার, বছিরের ছেলে খোরশেদ সহ একই উপজেলার পাহাড় পাবইজান গ্রামের হেকিম ম্যানেজারের ছেলে রমজান আলী আকন্দ, কালামের ছেলে সোলাইমান মৃত নবাব আলীর ছেলে নওশের আলী এরা সকলেই স্থানীয় প্রভাবের কারণে বনের জায়গা জবর দখল কারার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।
মধুপুর বনের জায়গায় রয়েছে সরকারী সামরিক বাহিনী বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ফায়ারিং রেঞ্জ রসুলপুর। এখানকার বিমান বাহিনীর লোকজনদের নাম ভাঙ্গিয়ে বনদুস্যরা বলেন বন বিভাগ তোদের যে প্লট দিয়েছে সেই প্লট বিমান বাহিনীর লোকজন আমাদের কে লিজ দিছে । তোরা বনের জায়গা ছেড়ে দে আমরা ফলের বাগান করব। আর যদি জায়গা আমাদের কে না দেস তাহলে বিঘা প্রতি সাড়ে ৪ হাজার করে টাকা দিতে হবে বলে দাবী করে।
আর যদি টাকা না দেস তাহলে তোদের কে ঐ জায়গা থেকে জোরপূর্বক তোদের কে উঠিয়ে দিব। তোদের বনের অফিসারগনও আমাদের কে ফিরাতে পারবে না।
বনের প্লটের উপকার ভোগী মধুপুর উপজেলার বেরীবাইদ ইউনিয়নের উপজাতি বীনেশ হাগিদগ,বিনীতা, সুরেলা রেমা, মোসলেম, শাজাহান সহ স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, আমরা সরকারের কাছে দাবী জানই যে আমাদের এই মধুপুর বনের জায়গা যাতে বনদস্যুরা জবর দখল না করতে পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
এব্যাপারে মধুপুর বনের জাতীয় উদ্যানের রাজাবাড়ী বিট কর্মকর্তা মো: জহিরুর ইসলাম আজকের তালাশকে জানান, মধুপুর গড়াঞ্চল একটি ইতিহাস ঐতিহ্য সমৃদ্ধ বনাঞ্চল। মধুপুর বনের প্রাকৃতিক পরিবেশ হারাতে বসেছে এই বনদুস্যদের কারনে । তাদের বিরুদ্ধে আইনঅনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের প্রস্ততি চলছে। এই বন বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষার্থে স্থানীয় প্রশাসন, ধনবাড়ী মধুপুরের এমপি বর্তমান কৃষি মন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক সহ মাননীয় বন মন্ত্রী এবং মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর হস্ত ক্ষেপ কামনা করছি।