প্রতিনিধি ৯ জানুয়ারি ২০২০ , ৪:৩৪:৩২ প্রিন্ট সংস্করণ
বরিশাল অফিস :-
পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলার বদরপুর গ্রামে গৃহবধুর উপর তার স্বামী ও স্বামীর স্বজন কতৃক যৌতুকের দাবীতে অত্যাচারের প্রতিবাদে মামলা করা হলেও তেমন একটা সুফল পাচ্ছেনা গৃহবধু।
ভুক্তভুগি মোসা: রাশিদা বেগম ও তার পরিবারের দাবী তার স্বামী মো: আবদুস সালাম মাতুব্বর ও স্বামীর স্বজনেরা দীর্ঘদিন যাবৎ ৫লক্ষ টাকা যৌতুকের জন্য তার উপর শারিরিক ও মানুষিক ভাবে অত্যচার চালাতে থাকে। যার পরিপেক্ষিতে রাশিদা বেগম আর কোন উপায়-অন্তর না পেয়ে গত বছরের ২৮সেপ্টেম্বর স্বামী আব্দুস সালাম মাতুব্বর ও তার ভাসুর আব্দুস সোবাহান মাতুব্বর সহ ৬জনের বিরুদ্বে পটুয়াখালী বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার ধারা (নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধিত ২০০৩ এর ১১(ক)(খ)(গ)/৩০ ধারা)। সেই মামলার চার্জসিট দেওয়া হয় গত ৩১/১০/২০১৯ তারিখ। যার তদন্তে আছেন পটুয়াখালী থানার এস.আই সুজন চক্রবর্তী।
যেখানে বলা হয়- ১নং আসামী আব্দুস সালাম তালুকদার ছাড়া ঘটনার সময় অন্য কোন আসামী (বাকি ৫জন) উপস্থিত থাকার কোন প্রমান পাওয়া যায়নি। তবে ভুক্তভুগির রাশিদা বেগমের পরিবার জানিয়েছেন মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা পটুয়াখালী থানার এসআই সুজন চক্রবর্তী আসামীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে চার্জসিট থেকে বাকি আসামীদের নাম বাদ দেওয়া পায়তারা চালাচ্ছে। যার ফলে ভুক্তভুগি রাশিদা বেগম জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় আছে বলে মনে করেন তার পরিবার।
অপরদিকে অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে পটুয়াখালী থানার এসআই সুজন চক্রবর্তীর সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি মোবাইলে কথা বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।
এদিকে মামলার বিবাদীরা ভুক্তভোগী রাশিদা বেগমের পরিবারের সদস্যদের হত্যাসহ নানা হুমকি দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
তবে মামলার বাদি রাশিদার পরিবারের দাবি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সুজন চক্রবর্তী মামলা তদন্তকালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাক্ষিদের মতামত না নিয়েই তিনি চার্জসিট বিজ্ঞ আদালতে প্রদান করেন।