প্রতিনিধি ২৭ জানুয়ারি ২০২০ , ৩:৪০:০৪ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরিশাল জেলাধীন বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়নে ৬ নং ওয়ার্ডে শ্বশুরের বন্ধুর হাতে ধষর্ন চেস্টার শিকার হয়েছেন হিন্দু গৃহবধু। তবে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেস্টা করেছেন ইউপি সদস্য মানিক হাওলাদার। স্থানীয় সুত্র এবং ঐ ওয়ার্ডের চৌকিদার সুনীলের দেয়া বক্তবে জানা যায়, গত ২৪ জানুয়ারী শুক্রবার দুপুরে গজাইল গ্রামের মৃত জব্বার তালুকদারের পুত্র এবং আওয়ামী লীগ নেতা ও ওয়ার্ড কমিউনিটি পুলিশের সাধারন সম্পাদক পরিচয়দানকারী ফারুক তালুকদার তার বন্ধু কেশবের বাড়ীতে গিয়ে তাকে খুজতে থাকে। এ সময় বাড়ীতে কেশবের পুত্র শুভ সরকারের স্ত্রী নমিতা রানী(২০) একা ঘরে ছিলেন। ফারুক তালুকদার পানি খাওয়ার অজুহাতে ঘরের মধে প্রবেশ করে এবং নমিতা রানীকে ধর্ষনের চেস্টা চালায়।কিন্তু নমিতা রানী কৌশলে ঘর থেকে বের হয়ে গেলে সেই অপচেষ্টা আর সফল হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধীক এলাকাবাসী জানায়, ঘটনার পরবর্তীতে ঐ দিন গভীর রাতে স্থানীয় মেম্বার মামুন এবং রতনের উপস্তিতিতে শালিশ মিমাংসা হয়। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মামুন জানান,ভিকটিমের পরিবার কোন অভিযোগ না দেয়ার ব্যাবস্থা গ্রহন সম্ভব হয়নি। আপনি কেন ঐ বাড়ীতে গিয়েছিলেন জবাবে মেম্বার মামুন বলেন, চেয়ার ম্যান সাহেব আমাকে ঢাকা থেকে ফোন করে বিষয়টি দেখতে বলেছিলেন তবে মাধবপাশা ইউপি চেয়ার ম্যান জয়নাল বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না।তবে ভিকটিমের শ্বশুর কেশব সাংবাদিকদের কাছে স্বীকার করেন যে,শালিসের মাধ্যমে এই বিষয়টির সমাধান করা হয়েছে।কি সমাধান করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন,মাফ চেয়েছে।অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ফারুক তালুকার বলেন, এমন কোন ঘটনা ঘটেনি।কেশবের সাথে আমার লেনদেন ছিল তাই আমার ইমেজ ক্ষুন্ন করতে এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে।