দেশজুড়ে

শেবাচিম থেকে বিতর্কিত পরিচালক ডা. বাকির হোসেন বদলি

  প্রতিনিধি ১৬ মার্চ ২০২০ , ২:০৩:০২ প্রিন্ট সংস্করণ

শেবাচিম থেকে বিতর্কিত পরিচালক ডা. বাকির হোসেন বদলি

তালাশ প্রতিবেদক ॥

অবশেষে বদলি হল বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের বিতর্কিত পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের পরিচালক পদে বদলি করা হয়েছে।

এছাড়া খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিচালকের দায়িত্বে থাকা ডা. এ.টি.এম.এম মোর্শেদকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) করা হয়েছে।

 

সোমবার (১৬ মার্চ) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ডা. বাকির হোসেনকে বদলির আদেশ দেয়া হয়েছে। ওই আদেশে অনুযায়ী আগামী সাত দিনের মধ্যে ডা. বাকির হোসেনকে খুলনায় তার নতুন কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

অন্যথায় অস্টম দিনে তার বদলির বিষয়টি স্ট্যান্ড রিলিজ হিসেবে বিবেচিত হবে। হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

জানাগেছে, ২০১৮ সালের ২৫ মার্চ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক পদে বদলি হয়ে আসনে ডা. বাকির হোসেন। এর আগে তিনি সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন শীর্ষক প্রকল্প পরিচালক এর দায়িত্বে ছিলেন।

হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা জানায়, দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকেই শেবাচিম হাসপাতালে শুরু হয় অব্যবস্থাপনা। এমনকি নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।

দায়িত্ব গ্রহনের প্রথম দিকেই তিনি শেবাচিম হাসপাতালের বিতর্কিত ভাড়ি যন্ত্রপাতি ক্রয় সংক্রান্ত অনিয়ম এবং দুর্নীতির বৈধতা দেয়ার চেষ্টা করেন। শতকোটি টাকার টেন্ডারের বিল গোপনে ঠিকাদারকে দিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন তিনি। এ নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।

এদিকে ওই বিতর্ক না কাটতেই শুরু হয় নতুন বিতর্ক। হাসপাতালে আদালতের মাধ্যমে যোগদানের আদেশ পাওয়া তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারীদের যোগান পরবর্তী তাদের বেতন-ভাতা প্রদানে উৎকোচ গ্রহনের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। যোগদান করা প্রতিজন কর্মচারীর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা করে তিনি উৎকোচ গ্রহন করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

অপরদিকে শুধু দুর্নীতিই নয়, তার বিরুদ্ধে সহকর্মী এবং হাসপাতাল কর্মচারীদের অভিযোগেরও শেষ নেই। চিকিৎসক এবং কর্মচারীদের সঙ্গে অসদাচরণ এবং অসম্মানের বিষয়টি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপারে পরিনত হয়। তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালি দেয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এছাড়া নবিন চিকিৎসক ডা. মারুফ হোসেন নয়নের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চিকিৎসকদের ক্রোধের মুখে পড়েন ডা. বাকির হোসেন। চিকিৎসকদের অভিযোগ হাসপাতাল অব্যবস্থাপনার কারণেই চিকিৎসা অবহেলায় মৃত্যু হয়েছে নয়নের। এজন্য বাকির হোসেনের বদলির দাবিও করেন তারা।

এদিকে নানা কারনে বিতর্কিত ডা. মো. বাকির হোসেনের বিরুদ্ধে পূর্বের কর্মস্থানে থাকাবস্থায় পুকুর সমান দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। দুর্নীতির অর্থে গড়ে তোলেন বিলাশবহুল বাড়ি। আর এ বিষয়টি নিয়ে তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালাচ্ছে দুদক। এসব কারণে ডা. বাকির হোসেনের বদলিতে স্বস্তি ফিরেছে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের মাঝে।

আরও খবর

Sponsered content