প্রতিনিধি ২৭ জুলাই ২০১৯ , ৩:২৮:৫১ প্রিন্ট সংস্করণ
রাজাপুর প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির রাজাপুরে জাতীয় পরিচয় পত্র স্মার্ট কার্ড বিতরনে উপজেলা নির্বাচন অফিসার আবু ইউসুফ এর বিরুদ্ধে রাজস্ব খাতের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার (দুর্নীতি) বিষয়ে দৈনিক আজকের তালাশে নিউজ প্রকাশের পর বৃদ্ধি পাচ্ছে রাজস্ব খাতের অর্থ। ২৬ জুলাই শুক্রবার অর্থ আত্মসাৎ এর নিউজ প্রকাশ হওয়ার পর নরেচরে বসেছেন উপজেলা নির্বাচন অফিসার সহ সংঘবদ্ধ এ চক্রটি। জাতীয় পরিচয় পত্র হারিয়ে যাওয়াসেবা গ্রহীতাদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের ব্যবস্থা পনায় আনা হয়েছে আমুল পরিবর্তন। শনিবার (২৭ জুলাই) উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়ন পরিষদে চতুর্থ দিনের মতো স্মার্ট কার্ড বিতরণের সময় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় পূর্বের নিয়ম কানুনের তুলনায় ভিন্ন চিত্র। টাকা আদায় করার কক্ষটিতে পূর্বে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস থাকলেও তা ব্যবহার করা হতো না এবং টাকা আদায় করলে কোন কার্বন কপি ছারা একটি মাত্র পাতায় নাম, মোবাইল নাম্বার ও অংকের পরিমান লিখে দিত কিন্তু এখন দেখা যায় পুরোটাই ভিন্ন। টাকা আদায় করার সময় ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস (মোবাইল, কম্পিউটার) ব্যবহার এবং ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং এর তিন পাতার সেল্প কার্বন কপি। লিপিবদ্ধ করছেন রেজিষ্টারে। তারপরও বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের বিধান অনুযায়ী সেবা গ্রহীতার অর্থ মোবাইলের মাধ্যমে ব্যাংকে জমা করে দিচ্ছেন না ট্রেনজেকশন আইডি। গত ২৪ এবং ২৫ তারিখে পরিচয় পত্র হারিয়ে যাওয়ার সংখ্যা রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করেছেন তার চেয়ে আনুপাতিক হারে এখন ৩ শত শতাংশ বেশি লিপিবদ্ধ করছেন।স্থা নীয়দের অভিমত সেবা গ্রহনের অর্থ শেষ পর্যন্ত সরকারের রাজস্ব খাতে জমা হবে কি।
উল্লেখ্য উপজেলা নির্বাচন অফিসার আবু ইউসুফ এর ভাষ্য মতে, শুক্তাগড় ইউনিয়নে বিতরণের ১ম দিন ৫১ জন, ২য় দিন ৬৪ জন সেবা গ্রহীতা সেবা গ্রহনের জন্য সরকারি খাতে টাকা জমা করেন বলে দাবী করেন। আর নিউজ প্রকাশের পর ৩য় দিন ৮৪ জন এবং ৪র্থ দিন শনিবার ১৪৬ জনের কথা জানা যায়। তবে বিতরণস্থলে উপস্থিত এলাকার গণ্যমান্য নেত্রীস্থা নীয়দের ধারনা প্রথম দুই দিন সেবা গ্রহীতার সংখ্যা কাগজে কলমে দেখানোর চেয়ে অনেক বেশি ছিল।
উপজেলার শুক্তাগড় ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুল হক মৃধা জানান, হারিয়ে যাওয়া কার্ডের জন্য জনপ্রতি ৩৪৫ টাকা নেওয়ার কথা জানতাম কিন্তু‘ এখন দেখি নির্বাচন অফিসার জনপ্রতি ৩৬০ টাকা নিচ্ছেন।