Uncategorized

এক সপ্তাহের ব্যবধানে মারধরের পরে যুবক ও গৃহবধুর মৃত্যু

  প্রতিনিধি ২৮ এপ্রিল ২০২০ , ২:০৫:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ

তালাশ প্রতিবেদক বানারীপাড়া :-



এক সপ্তাহের ব্যবধানে মারধরের শিকার হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন যুবক ও গৃহবধু। জানা গেছে উপজেলার মধ্য ইলুহার গ্রামের তোতা মিয়া হাওলাদার ও তার ভাই গাফফার হাওলাদারের পরিবারের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিলো। এর জের ধরে ২৫ এপ্রিল দুপুরে দু’পক্ষের মধ্যে ঝগড়ার এক পর্যায়ে আসামীরা তোতা মিয়া হাওলাদার (৬৫),তার স্ত্রী হাফিজা বেগম (৫৫) ও বেড়াতে আসা তাদের মেয়ে মাহমুদাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার পরে মাহমুদা বেগমকে আশংকাজনক অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখান থেকে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে মঙ্গলবার ২৮ এপ্রিল সকাল ৯টায় সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় এক সন্তানের জননী মাহমুদা। ওই হাসপাতালে তার লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। এ ব্যপারে নিহত ওই গৃহবধুর ভাই সবুজ হাওলাদার বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে বানারীপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামীরা হলো তিন সহোদর ফোরকান হাওলাদার,ফরিদ হাওলাদার ও শাকিল হাওলাদার তাদের পিতা গাফফার হাওলাদার ও মা দোলেনা বেগম। অপরদিকে উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের নলশ্রী গ্রামে কাওসার নামের এক যুবককে (মাদক ব্যবসায়ী) বাড়ি থেকে তুলে এনে পিটিয়ে আহত করার পরে ১৯ এপ্রিল ভোর রাতে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। এ ঘটনায় ২১ এপ্রিল সন্ধ্যায় বরিশাল র‌্যাব-৮ অভিযান চালিয়ে উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের করপড়া গ্রাম থেকে হত্যা মামলার আসামী পল্লী চিকিৎসক নজরুল ইসলামকে গ্রেফতারের পরে বানারীপাড়া থানায় সোপর্দ করে। ওই মামলার অপর আসামীদের এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ফলে নিহত কাওসারের বিধবা মা মামলার বাদী রওশনআরা বেগম ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতার মাঝে দিনাতিপাত করছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। এদিকে কাওসার হত্যার শিকার’র রেশ না কাটতেই মাহমুদা নামের এক গৃহবধু হত্যার শিকার হলেন। এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শিশির কুমার পাল জানান আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

আরও খবর

Sponsered content