মোঃ মাসুদ আলম:-
সারাবিশ্বের চিত্র পরিবর্তন করে দেওয়ার অন্য এক নাম কোভিড-১৯।এই ভাইরাসের কোনো কার্যকরি ঔষধ আবিষ্কার না হওয়ায় মৃত্যুর মিছিল দিনদিন দীর্ঘায়ত হচ্ছে।বাংলাদেশেও তার ব্যতিক্রম নয়। ৮ই মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী সনাক্ত হয়।এরপর থেকে সংখ্যাটি দীর্ঘতর হচ্ছে।পিছিয়ে নেই মৃত্যুর সংখ্যাও। জনমনে মৃত্যুর আতংক সবসময় বিরাজমান। স্বাস্থ্য সংস্থা গুলো কিছু নিয়মকানুন বলে দিয়েছে এর থেকে প্রাথমিক ভাবে বেঁচে থাকার জন্য।কিন্তু সেই নিয়মই কি পারতেছে এই ভাইরাস থেকে বাঁচাতে?এই ভাইরাস থেকে নিরাপদে থাকার জন্য সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।বন্ধ করা হয়েছে সরকারি অফিস-আদালত,শিল্পকারখানা সহ সব কিছুই। লকডাউন করা হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়।বলাই যায় যে, বাংলাদেশের চিত্রই পরিবর্তন হয়ে গেছে।এসএসসি পরিক্ষা ফলাফল ঘোষনা দেওয়া,এইচএসসি পরিক্ষা বন্ধ সব মিলিয়ে শিক্ষার্থীরা আছে এক অনির্দিষ্ট ভোগান্তিতে।এখন রমজান মাস চলতেছে।এই রমজান মাস কতো সুন্দর পরিবেশ বিরাজ করার কথা ছিলো।মসজিদে মসজিদে তারাবীহ নামাজ,সন্ধার সময় ইফতারের আয়োজন থাকার কথা ছিলো। কিন্তু আজ মনে হয় সবই অনুপস্থিত। ঈদকে সামনে রেখে মার্কেট গুলোতে থাকতো মানুষের ভীর।বাহারী পোশাকে সজ্জিত থাকতো মার্কেটগুলো।কেনাকাটায় ব্যস্ত থাকতো সকলেই। রমজানে মুসলামনদের মাঝে যে একরকম আনন্দ বিরাজ করতো সেটা আজ সত্যিই অনুপস্থিত। তারাবির নামাজ আদায় করতে হচ্ছে নিজেদের ঘরের মধ্যে থেকেই।সকলকে হোমকোয়ারেন্টাইন মেনে চলতে বলা হয়েছে।কতোদিন থাকা যায় ঘরের মধ্যে আবদ্ধ?রাস্তাঘাট ফাঁকা,মানুষ নেই,নেই যানবাহন। ঢাকার চিত্র এখন সত্যিই এক অন্য ঢাকা মনে হচ্ছে। এই মহামরী পুরো দেশের চিত্রই পাল্টে দিয়েছে।সামনে ইদ, তাই এখনো জনমনে আতংক যে, তারা ঈদের আনন্দ কি করতে পারবে?সরকার মহল সহ সকল সচেতন মহলের প্রত্যাশা এই বিপদ থেকে কাটিয়ে সুসময়ে খুব দ্রুত ফিরে যাবে বাংলাদেশ।তবে তার জন্য প্রয়োজন সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। এই দুর্ভোগ দ্রুত কেটে যাক এটাই প্রত্যাশা সকলের।বাংলাদেশের চিত্র আবার আগের মতো সু্ন্দরময় হয়ে উঠুক খুব দ্রুত এটাই কামনা।সকলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি।নিজে ভালো থাকি,পরিবারকে ভালো রাখি।