প্রতিনিধি ৫ জুন ২০২০ , ১০:১১:৫৪ প্রিন্ট সংস্করণ
অনলাইন ডেস্ক
গ্রামটির নাম ফাব্রিচ দি ক্যারেজিন। ইতালির লুকা প্রদেশে অবস্থিত এটি। গ্রামটি ১৯৪৬ সালে তৈরি জলবিদ্যুৎ বাঁধ ও ভাগলি হৃদের কারণে পানিতে নিমজ্জিত হয়। এরপর মাঝে মাঝে বাঁধের পানি সরিয়ে নিলে গ্রামটি জেগে উঠে, সর্বশেষ ১৯৯৪ সালে পুরোপুরি দৃশ্যমান হয় এটি। খবর সিএনএন’র।
১২ শতকের এই ইতালিয়ান গ্রাম সিকি শতাব্দি পর জলের তল থেকে মাথা তুলতে যাচ্ছে। তবে সাবেক বাসিন্দা ও তাদের সন্তানদের দাবি গ্রামটি যেন ফের ডুব না দেয়!
বাঁধের কারণে গ্রামের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয় নতুন লেকসাইড শহর ভাগলি ডি সটিতে।
৩.৪ কোটি কিউবিক মিটার পানিতে ডুবে যাওয়া গ্রামের পাথরে তৈরি বাড়ি, একটি সেতু, গোরস্তান ও সান থিওডরো চার্চ এখনো টিকে রয়েছে। ১৯৫৮, ১৯৭৪, ১৯৮৩ ও সর্বশেষ ১৯৯৪ সালে বাঁধ খালি করলে ভুতুড়ে গ্রামটি জেগে উঠে। সাধারণত প্রতি দশ বছর পরপর মেরামতের জন্য বাঁধের অনেকটা খালি করা হয়।
ইতালির সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে সিএনএন জানায়, স্থানীয় রাজনীতিবিদরা অনেক দিন ধরে হৃদ শুকিয়ে গ্রামটিকে আগের রূপে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন।
বর্তমানে অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধের জন্য এই জলাধার ব্যবহার করা হয়।
সম্প্রতি ২৭ বছর পর আবারও হৃদটি শুকানোর লক্ষণ দেখা দিয়েছে। এক ফেইসবুক পোস্টে সাবেক মেয়রের মেয়ে লরেঞ্জা গিওর্গি জানান, আগামী বছর হৃদটি শুকিয়ে যাবে। তার বাবা মারিও পাগলিয়া মেয়র থাকাকালে ১৯৯৪ সালে সর্বশেষ গ্রামটি জেগে উঠে। তিনি পর্যটন ও স্থানীয় কর্মসংস্থানকে উজ্জীবিত করা জন্য হৃদটিকে শুকিয়ে ফেলার কথা বলেন।
গিওর্গি বলেন, গ্রামটিকে স্বাগত জানানোর জন্য ১০ লাখের বেশি মানুষ অপেক্ষা করছেন।
তবে এ বিষয়ে বাঁধ কর্তৃপক্ষের কোনও বক্তব্য দিতে পারেনি সিএনএন।