Uncategorized

ডেঙ্গুর ভাগাড় বি সি সির ২২ নং ওয়ার্ড , কাউন্সিলরের লোক দেখানো কাজে ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী !

  প্রতিনিধি ৭ আগস্ট ২০১৯ , ৪:৩৪:২০ প্রিন্ট সংস্করণ

বরিশাল অফিস :-

বিসিসি’র পরিচ্ছন্নতা বিভাগের দূর্বলতা এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের অবহেলায় নগরীর ২২ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন যায়গার ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার না করায় এবং বেশকিছু ঘনবসতি এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় জমে থাকা পানিতে সৃষ্টি হচ্ছে উৎকট দূর্গন্ধ ও মশার উৎপাদন কেন্দ্র । শুধু তই নয় কয়েকটি এলাকায় দেখা যায় কিছু অসচেতন বাড়ির মালিক তাদের ভাড়াটিয়াদের ময়লা আবর্জনা রাস্তার পাশে ফেলে নিয়মিত ময়লার ভাগার বানাতে শুরু করেছে । এরকম রাস্তার পাশে ময়লা আবর্জনা ফেলার কারনে দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশ দূষিত করছে।এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে ওয়ার্ডের হাজারো নাগরিক। এলাকাবাসীর অভিযোগ বিসিসি’র পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা ময়লা আবর্জনা ঠিক মতো পরিষ্কার না করার কারনে দুর্গন্ধ ও পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। তারা আরো জানায়, আগের কাউন্সিলর শহিদ তালুকদার পরিষ্কার -পরিচ্ছন্ন কর্মীদের দিয়ে প্রতি সপ্তাহে দুই বার ড্রেনেজ পরিস্কার ,ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার, রাস্তায় ঝাড়ু দেয়া সহ আমাদের সুবিধা-অসুবিধার কথা শুনে ব্যবস্থা নিতেন, কিন্তু বর্তমান কাউন্সিলর সাহেব ১ বছর হয় দায়িত্ব গ্রহন করেছেন এখন পর্যন্ত তার চেহারা একবারো দেখলাম না। এ ব্যাপারে কাজিপাড়া এলাকার আব্দুল আলী নামের এক ব্যক্তি জানান,হগল এলাকায় মশার ওষুধ দেছে কৈ মোগো এলাকার মশার ওষুধ গেছে কৈ, ডেঙ্গু হইলে হেরপর ওষুধ দিয়া কি হইবে। তিনি আরো বলেন, আগের কমিশনার তালুকদার লোকটায় ভালোই ছিলো কিরপান্নে যে বেডায় ইলেকশন করেনায় আল্লাহ যানে, আর এহনগো কমিশনার হেই যে ভোটের সময় দেখছি আর হেরে দেহিনা একটু খোঁজ খবরও লয়না মোগো। অন্যদিকে জিয়া সড়কএলাকার সালাম জানান,বর্তমানে যেরকম ভাবে ডেঙ্গু চিকুনগুনিয়া জ্বর শুরু হয়েছে তাতে করে পরিবার নিয়ে খুব চিন্তার মধ্যে দিন কাটছে, বরিশাল নগরীর বিভিন্ন স্থানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যপক কর্মসূচি বা ঔষধ দিতে দেখা গেলেও আমাদের এলাকায় এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের মশার ঔষধ দিতে দেখলাম না, এখন এইটা সিটি কর্পোরেশনের গাফলতি নাকি কাউন্সিলরের অবহেলা সেটাই দেখার বিষয়। এছাড়াও এলাকায় নিয়মিত পরিচ্ছন্নতার কাজ না হওয়ায় মশার বংশ বিস্তার ঘটছে। যে কারনে এলাকায় মশার উপদ্রব ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এলাকাবাসী এ সমস্যা দুর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ পেতে কাউন্সিলরের এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের এ বিষয় অবহিত করা হলেও মাস কেটে গেলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহন তারা করেনি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,২২ নং ওয়ার্ডের কাজিপাড়া এলাকার একটি পুকুর ময়লা আবর্জনা ফেলে মশার অভায়রন্য তৈরী করতে সাহায্য করার অবস্থা এছারাও ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানি জমে ডেঙ্গু মশার চাষ হচ্ছে। এ বিষয়ে ২২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আনিচুর রহমান দুলালেরর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মশা মারার ঔষধ দেয়া হয়েছে, বর্তমানে যে মেশিন দিয়ে ঔষধ দেয় তাতেতো কোনো শব্দ নাই সেকারণেই হয়তো এলাকার মানুষ টের পায়নি। তবে এই প্রতিবেদকের সামনেই সাথে সাথেই তার কথার মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে, তার কার্যালয়ে বসে থাকা দুই যুবক বলে উঠলো কোথায় ঔষুধ দিছে আমাদের এলাকায় তো একদিন ও দেখিনি। এমন কথার প্রেক্ষিতে কাউন্সিলর দুলাল সাথে সাথে সুমন নামের এক বিসিসি’র ওয়ার্ড পরিচ্ছন্ন কর্মীকে ফোন দিয়ে ঔষধ দেয়ার জন্য বলে এমনকি তিনি সকলের সামনেই সুমনকে ফোনের মাধ্যমে বলেন,এখন থেকে ঔষধ দিবা দিনের বেলায় আর যেখানে মানুষের বেশি আনাগোনা সেখানে তাদের দেখিয়ে দেখিয়ে ঔষধ দিবা যাতে করে কেউ আর অভিযোগ দিতে না পারে। এরপর আর কোনো সূউত্তর না দিয়েই আনিচুর রহমান দুলাল তার কার্যালয় ত্যাগ করে ।

আরও খবর

Sponsered content