প্রতিনিধি ২৩ ডিসেম্বর ২০২০ , ৭:২৪:১৫ প্রিন্ট সংস্করণ
মো: হাবিবুল্লাহ খান রাব্বী, মহিপুর থেকে : কুয়াকাটা পৌরসভা র্নিবাচনে ভোট সংগ্রহের হাড্ডা-হাড্ডি প্রতিযোগিতা চলছে। অপরদিকে সুষ্ঠু ভাবে ভোটাররা ভোট প্রদান করতে পারবেতো !
এমন শংঙ্কার ভয়াবহতার নিঃশ^াসে গরম হাওয়া বইছে। সু-নাম ভরা প্রার্থীদের প্রচার মাইকের আওয়াজে ক্ষনিকের বিরক্তবোধ সৃষ্টি হলেও, প্রার্থীর নামে গানে গানে গুনগান বিশ্লেষনে বন্ধু মহল ও সাধারণ ভোটারদের মাঝে অট্রহাসি গড়িয়ে পড়ছে। পূর্বে নির্বাচিত ওয়ার্ড কাউন্সিলররা অনেকেই ঝড়ে পড়বে বলে মন্তব্য সচেতন ভোটারদের। কাউন্সিলরদের মধ্যে অধিকাংশ প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের।
তাই ভোটকেন্দ্রে কোন প্রকার বিগ্নতা সৃষ্টি হলে, দলীয়দের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটার আশংকা রয়েছে। ভোটারগন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও নির্ভয়ে ভোট প্রদান করতে পারলে, পাচঁজন প্রতিদন্দির মধ্যে নির্বাচিত হওয়ার প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মোঃ বশির উদ্দিন (লাইট ল্যাম্প) প্রতীক। পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৮০১২২/ আট হাজার এক শত বাইস।
এর মধ্যে জাতীয়তাবাদী দল বি এন পি’র ভোটার অর্ধেক। পৌর বি এন পি’র নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটারদেরকে চলার পথে সাধারণ টুকি-টাকি বিষয় নিয়ে মনমালিন্য পুষে না রেখে, নির্বাচনের স্বার্থে হলেও একে অপরকে ক্ষমা করতে হবে এবং একে অপরের কাধে কাধ মিলিয়ে, হাতে হাত মিলিয়ে ২৮ তারিখ ২০২০ ইং রোজ : সোমবার সারাদিন বি এন পি দলীয় প্রতীক ধানের শীশ মার্কায় ভোট দিয়ে জয়ের নিশান উড়ানোর আহবান জানান, ৭নং লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও কুয়াকাটা পৌর বি এন পির আহবায়ক আ: আজিজ মুসুল্লী। দীর্ঘদিন আ’লীগ ক্ষমতায় থাকার কারণে বি এন পি’র সাধারণ ভোটাররা অন্যান্য নেতামুখী হয়েছে।
ফলে বি এন পি প্রার্থী সাভাবিক ভাবেই হিমসিম খাচ্ছে। বর্তমানে নির্বাচনী খরচটাই কিনা ! আগামীদিনের ভার বহন করতে হয়। গত প্রথম পৌর নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার হাওলাদারের জন-জোয়ার, প্রকাশ্যে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নেয়ার অংকিত চিত্র চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। এ নির্বাচনে জন-জোয়ার নেই, আছে আতঙ্ক, বি এন পি নির্বাচনে অংশ গ্রহন করায় স্বতন্ত্রপ্রার্থীকে চড়মভাবে ভাবিয়ে তুলছে। মেহমানের সামনে জগ (প্রতীক) থাকবেতো ! না ! শরবৎ খেয়েই বিদায় নেবে। আ’লীগ ক্ষমতায় আসার পর ৭নং লতাচাপলী ও কুয়াকাটা পৌরসভার সকল শ্রেনী পেশার মানুষ শান্তি পূর্নভাবে বসবাস ও ব্যাবসা বানিয্য করে আসছে।
বি এন পি, জাতীয় পার্টি যে কোনো দলেরই হোক না কেন, ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে কাউকে ক্ষতিকরা হয়নি বরং সরকারের দেয়া যাবতীয় সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। সূতারং বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এদেশকে উন্নত ও বিশে^র দরবারে মধ্যম আয়ের দেশ হিসাবে গড়ে তুলতে যে কর্ম-পরিধির চলমান ধারা অব্যহত রাখতে দলমত র্নিবিশেষে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহবান জানান, ৭নং লতাচাপলী ইউনিয়নের বার বার নির্বাচিত সফল চেয়ারম্যান(সাবেক), কুয়াকাটা সাবেক পৌর মেয়র ও পৌর আ’লীগের সভাপতি আ: বারেক মোল্লা। গত ২০ অক্টোবর মহিপুর ইউনিয়ন নির্বাচনে আ’লীগ সরকারের কঠোরতায় গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটেছে।
ফলে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা অপশক্তি কাজে লাগাতে না পাড়ায়, নৌকার বিপক্ষে বিপুল ভোটের ব্যাবধানে স্বতন্ত্র (আনারশ)’র বিজয় হয়েছে। নৌকার প্রার্থীর কল্পনা যখন ইউনিয়ন নির্বাচনের দিকে যায়, তখনই মাথায় একটা ঘোরপাক দেয়। আ’লীগ সমর্থিত বুদ্ধিমান ভোটারদের চায়ের আড্ডার খোশগল্প। গল্পে গল্পে আর গল্প থাকলোনা, আসলটাই বেড়িয়ে এলো। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় খরচ শব্দটি গা ছুইতোনা! কিন্তু এখন তার উল্টো। প্রচুর টাকা ব্যায় হচ্ছে-তবে পিছ পা নেই। নৌকার বিজয় নিশ্চত রাখতে যে কোন কৌশল অবলম্বনে অনড়। ধানের শীশ মার্কা নিয়ে তেমন কোন মাথা-ব্য্থাা নেই, নেই হাত পাখা নিয়েও। শুধু মাত্র স্বতন্ত্র জগ মার্কার ঢেউ সামাল দিতে পারলেই নৌকার জয়।