Uncategorized

সাংবাদিক পরিচয়দানকারি সেই কুলি এখন কারাগারে !!

  প্রতিনিধি ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ , ১২:৩৯:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ

বরিশাল অফিস :-

বরিশাল নগরীর এক সময়কার মাছের ট্রাকের কুলি এখন বিশাল মাপের সাংবাদিক বনে যাওয়া রেদোায়ান সিকদার রনি। সে সাধারন মানুষের কাছ থেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। অনেক মানুষকে সাংবাদিক বানানোর নামে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। নিজেকে সাংবাদিক বানানোর কারখানা পরিচয় দেন তিনি।

মানুষ টাকা ফেরত চাইলে সে তাদের প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। সে আরো বলে যদি কেউ আইনের আশ্রয় নিতে চায় তাহলে তাকে বিভিন্ন পত্রিকায় খারাপ ও মানহানি নিউজ করবে বলে হুমকি দেয় এমনটাই অভিযোগ করেছেন একাধিক ভুক্তভোগী। নিরিহ মানুষের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা তার এক প্রকার নেশা ও পেশা।

পোর্ট রোড ও কাশিপুর বাজারের মাছের ট্রাকের কুলি সে এসএসসি পাশ করেছে কিনা সন্দেহ। সে কিভাবে সাংবাদিকতা করে তা জানতে চায় সাধারন মানুষ?

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার বিরঙ্গল গ্রামের বাসিন্দা কাদের সিকদারের ছেলে রদোয়ান সিকদার রনি। তিনি চাঁদাবাজিসহ ২টি মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী। তার বিরুদ্েেধএছাড়াও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সেই মামলায় রেদওয়ান সিকদার রনিকে শনিবার তাকে আটক করা হয়েছে। আজ রবিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

শনিবার আটক করা হয় ।

 

সূত্র জানায়, রেদওয়ান সিকদার রনি দুটি সিআর মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি। একটি মামলায় তিনি ৬ মাসের সশ্রম দণ্ড প্রাপ্ত। অপর একটি মামলায় তিনি ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রাপ্ত ও ১ লাখ টাকার অর্থ দণ্ডে দণ্ডিত।

দণ্ডিত রনি বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকার সাথে জড়িত থেকে মানুষেকে হয়রনির অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যেতো এই রনি। রনি আটকের খবরে ভুক্তভোগীরা স্বস্তি প্রকাশ করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী জানান , আমার স্বপ্ন ছিল আমি একসময় সাংবাদিক হবো । এক টিভি চ্যানেলে কাজ করার জন্য রনির অফিসে সার্টিফিকেট ও ভোটার আইডি কার্ড জমা দেই তারপর মনে করেছিলাম আমার স্বপ্ন আজ সত্য হয়েছে । কিন্তু আমার ৩২ হাজার টাকা নেয়। পরে আমাকে আর কোথাও নিয়োগ দেয়নি। আর টাকাও ফেরত দেয়নি। পরে ৫-৬ জন মিলে এসে আমাকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধমকি দেয় এতে আমি ভিশন ভয় পেয়ে যাই। এই সাংবাদিক আমার জীবনে এইরকম ক্ষতি করার চেষ্টা করবে আমি আগে জানতাম না।

নগরীর ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন জানান, আমার কাছ স্বাধীন সংবাদ পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ব্যবসার নাম করে ৭ লাখ নিয়েছে। আমাকে ব্যবসায় নামিয়ে আমার টাকা মেরে খেয়েছে। এ সংক্রান্ত তিনি একটি ভিডিও সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। .

আরও খবর

Sponsered content