প্রতিনিধি ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৩:২০:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ
প্রিন্স তালুকদারঃ বরিশালের ঐতিহ্যবাহী চরমোনাই মাহফিলে দেশ বিদেশ থেকে আগন্তক মুসুল্লিবাহী ট্রলারেআইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনেই চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি বরিশাল সদর উপজেলারকীর্তনখোলা নদীর তীরে অবস্থীত বেলতলা খেয়াঘাটে।
ঘাট ইজারাদারের লোক পরিচয়ে নিয়াজ ও রবিউল ইসলাম রবি প্রতিটি ট্রলার থেকে ২০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকাপর্যন্ত চাঁদা আদায় করছে। কেউ এই অর্থ দিতে না চাইলে তার ট্রলার বলপূর্বক ঘাটে বেধে রাখা হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে গত দুদিন ধরে এই চাঁদাবাজি চলে আসছে। অভিযোগ রয়েছে, এতে থানাপুলিশের কতিপয় সদস্যও জড়িত রয়েছে। তাদের অর্থ দিয়ে চাঁদাবাজি চালাচ্ছে এই চক্র।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, চরমোনাই মাহফিলে বিভিন্ন স্থান থেকে মুসুল্লিদের পরিবহনের লক্ষে বেলতলাখেয়াঘাটে বেশকিছু ট্রলার আসে। এইসব ট্রলারে যাত্রী তোলা মাত্রই ২ যুবক হানা দিয়ে ২ থেকে ৭’শ টাকা আদায়করছে। অভিযোগ, কেউ এই টাকা দিতে না চাইলে তার ট্রলারটি ঘাট ত্যাগ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
ট্রলার মালিক জীবন ( ছদ্দনাম) তিনি জানান, আমাদের ৩ টি ট্রলারে এখান থেকে লোক নেয়। গতকাল রবি আরনিয়াজকে ৭০০ টাকা দিতে হইছে। না দিলে ট্রলার চালক্কে মারধর করতো।
সরুপকাঠী থেকে আসা এক ট্রলার চালক বল্লেন ৭০০ টাকা দিলাম অই টি–সার্ট পরা লোকটাকে (লোকটি রবি)।সিরিয়াল আগে দেয়া আর ঘাট খরচ বাবদ।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, নিয়াজ ও রবিউল ইসলাম রবি মিলে ট্রলার থেকে চাঁদা আদায় করছে। দায়িত্বরতএস আই এনামুল ও অন্নান্য পুলিশ সদস্য এই চিত্র প্রত্যক্ষ করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।
নিয়াজ ও রবি দুজনেই এই অভিযোগ অসিকার করে বলেন, আমরা ইজারাদার হিরা মাতুব্বরের নিয়োজিত। এখানেকোনো চাঁদা নেয়া হয়না।
এস আই এনামুল অভিযোগ অসিকার করে বলেন, আমরা রাত দিন ডিউটি করছি। অতিরিক্ত টাকা কেউ নানিতে পারে তা আমরা মনিটরিং করি।
সংশ্লিষ্ট কাউনিয়া থানা পুলিশের ওসি আব্দুর রহমান মুকুল বলেন, চাঁদা নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। জদি কেউ নিয়ে থাকে অবস্যইব্যাবস্থা নেয়া হবে।