Uncategorized

মুলাদীতে মা ইলিশ নিধন বৈধ !!!

  প্রতিনিধি ১৫ অক্টোবর ২০১৯ , ২:২০:০২ প্রিন্ট সংস্করণ

বরিশালের মুলাদীতে চলছে ইলিশ ধরার মহাউৎসব। জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ডিমওয়ালা মা ইলিশ। ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকলেও তা উপেক্ষা করে উপজেলার কোল ঘেষে বয়ে যাওয়া আড়িয়াল নদীর নন্দীরবাজার থেকে নলগোড়া পর্যন্ত প্রায় ৩০/৪০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে চলছে অবাধে মা ইলিশ নিধন। মুলাদীর মৎস্য বিভাগ ও নৌ-পুলিশের গাফলতির কারণেই জেলেরা মা ইলিশ নিধনের সুযোগ পাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আড়িয়াল খা নদীর তীরবর্তী উপজেলা হওয়ায় এলাকার চরাঞ্চলের জেলেরাসহ নদীর আশপাশের বিভিন্ন পেশার মানুষজন সরকারি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চালাচ্ছে মা ইলিশ ধরার উৎসবে।

সন্ধ্যার পর থেকে প্রায় অর্ধশতাধিক ছোট বড় ট্রলার ও নৌকা নিয়ে চলে ইলিশ শিকারের মহোৎসব। মৎস্য অফিসার রিতীমত মাঠে না থাকায় থামছে না মা ইলিশ ধরা। উপজেলার আড়িয়াল খা ও জয়েন্তী নদীতে বেশ কিছুদিন থেকে ডিমওয়ালা মা ইলিশের ঝাঁক ধরা পড়ায় আসন্ন প্রজন্ম মৌসুমে জাতীয় এ মাছের উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে এ ধরনের মন্তব্য করছেন একটি সচেতন মহল। উল্লেখ্য যে, ৯ অক্টোবর থেকে আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ মাছের ডিম ছাড়ার প্রজন্ম সময়। তাই সারা দেশে এ ২২ দিন মা ইলিশ ধরা, বিক্রি ও মজুদ ও পরিবহন করা নিষিদ্ধ করেছে সরকার।

কিন্তু সরকারি আদেশ অমান্য করে উপজেলার আড়িয়াল খা নদীর তীরবর্তী মুলাদী রাস্তার মাথা, নন্দিরবাজার, মিয়ারচর, জালালপুর, নাতিরহাট, ভূইয়া বাড়ি, নলগোড়া, জয়েন্তী নদীর চরকালেখান, পূব বানীমদন, ঘোষেরচর, নাজিরপুর, রামচর, বাটামারা, সফিপুর, গাছুয়া, মৃধারহাট চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন পয়েন্ট চলছে মা-ইলিশ ধরার এই মহা-উৎসব। বড় ইলিশের সঙ্গে বাদ পড়ছে না ছোট আকারের জাটকাও। সন্ধ্যার একটু পরে নদীতে তাকালেই নজরে পড়ছে শতশত ইলিশ ধরার নৌকার বাতি। নদীর পাড়েই আবার প্রকাশ্যে ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে ইলিশ। ব্যাগ ভরে কম দামে মাছ কিনে নিচ্ছে সাধারণ মানুষ। মা ইলিশ রক্ষায় উপজেলা মৎস্য অফিসার তেমন কোনো সোচ্চার ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়নি। এসকল কারনে দল বেঁধে জেলে এবং জনগণ সবাই ইলিশ ধরা, ক্রয়-বিক্রয়ের সুবিধা পাচ্ছে।

এ বিষয় নাজিরপুর নৌ- পুলিশ ফাড়ির ইনর্চাজ মোঃ কবির হোসেন জানান, আমরা নৌ- পুলিশ আজ অভিযানের ৫ দিনে ৮০/৯০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করেছি ও ৫/৬ জন কে আটক করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে মোবাইল কোটে জেল জরিমানা করেছেন।

এ সকল অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, মা ইলিশ শিকার বন্ধে সার্বক্ষনিক তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমাদের ৬টি টিম মুলাদী উপজেলার কাজ করিতেছে।

আরও খবর

Sponsered content