অপরাধ

মুলাদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা ব্যবস্থা অফিস সহায়ক মনিরুলের হাতে!

  প্রতিনিধি ১১ জুলাই ২০২৩ , ৪:৩২:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ

মুলাদী প্রতিবেদক:
বরিশালের মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অফিস সহায়ক মনিরুল ইসলাম নিজেই সার্জন সেজে ছোটখাট সেলাই প্রদান, ঔষধের স্লিপ দিয়ে চিকিৎসা করেন। এর পরে পাশেই থাকা একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে রোগি পাঠিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অংকের টাকা। এর সাথে তার উর্ধতনরা জড়িত থাকায় অভিযোগ দিয়েও কোন লাভ হয়না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

জানা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘিরে অন্তত ২০-২৫ জনের একটি দালাল চক্র সক্রিয় রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এসব দালালের হাতে উপজেলার সাধারণ মানুষ জিম্মি হয়ে আছে। এসব দালালদের সমন্বয় করেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস সহায়ক (কথিত সার্জন) মনিরুল ইসলাম।

রোগী ও তাদের স্বজনদের অভিযোগ, বেশিরভাগ রোগী এখানে ভর্তি হতে পারে না। নানা অজুহাতে তাদের শহরের বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে পাঠানো হয়। কেউ কেউ কৌশলে ভর্তি হলেও তাদের ঠিকমতো চিকিৎসা হয় না। দেয়া হয় না কোন ওষুধ। বাধ্য হয়ে বাইরে থেকে ওষুধ কিনে নিতে হয়। এদিকে রোগীদের নামে বরাদ্দকৃত ঔষধ কৌশলে বিক্রি করে দেয় মনিরুল ও তার সহযোগীরা।

স্থানীয়রা জানায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর অফিস সহায়ক মনিরের মাধ্যমে বেসরকারি ক্লিনিকের মালিকদের সাথে চুক্তি রয়েছে। রোগী পাঠালে সেখান থেকে অনেক টাকা আসে কমিশন হিসেবে। সেজন্য রোগীদের সেখানে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
অনুসন্ধানে ছদ্মবেশে একজন রোগী মনিরুলকে ফোন দিলে তিনি ঐ রোগীকে বলেন, আসেন সুন্দর ভাবেই সেলাই দিয়ে দিব। টাকা পয়সাও কমিয়ে নেব আনে।

কিছুক্ষণ পরই গণমাধ্যম থেকে মনিরুলের কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। একটি গ্রুপ আমার পিছনে লেগেছে। তারাই এসব অপপ্রচার করছে।

এসব বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাইয়েদুর রহমান বলেন, মনিরুলের বিষয়ে আমার কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও খবর

Sponsered content