প্রতিনিধি ১৬ জুলাই ২০২৩ , ৪:৩৫:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ
তালাশ প্রতিবেদকঃ
স্থানীয় বখাটেদের বাসায় মাদক সেবন করতে বাধা দেয়ায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পায়ের রগ কর্তন সহ এক দিন মজুরকে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল সদর উপজেলার কাউনিয়া থানাধীন চরবাড়িয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সাপানিয়া গ্রামে ১৬ ই জুন রবিবার সকাল ১১ টায় স্থানীয় কতিপয় বখাটেদের মাদকসেবনে বাধা প্রদান করায় মুনসুর শেখের ছেলে এক দিন মজুর শ্রমিক মিলন শেখ (৩৬) কে দেশীয় ধারালো অস্ত্রদিয়ে সংঘবদ্ধ ভাবে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পায়ের রগ কর্তন করার অভিযোগ করে ভূক্তভোগীরা।
হামলা চলাকালীন স্থানীয় রাশেদ নামের এক ব্যবসায়ী জাতীয় জরুরী সেবার ৯৯৯ এ কল করে হামলা করার বিষয় অবহিত করলে কাউনিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এসময় থানা পুলিশ স্থানীয় এবং গুরত্বর জখম হওয়া রক্তাক্ত দিন মজুর কে দ্রুত চিকিৎসা নিতে শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গুরুতর আহত মিলন শেখ জানায়, চড়বাড়িয়া ইউনিয়ন ৪ নং ওয়ার্ডের সাপানিয়া গ্রামে জলিলের ঘড়ে দুই মাস যাবৎ স্ত্রী বাচ্চা নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন।তিনি গাছের গুড়ি থেকে শুরু করে দিনমজুরি শ্রমিক। প্রতিদিনের মজুরি দিয়েই চলে তার সংসার। সকালে তার ভাড়া বাসায় স্থানীয় বখাটেদের একটি দল এসে তার বাসায় বসে মাদক সেবন করবে বলে জোড়াজুড়ি করলে তাতে বাধা দেয় তিনি। এতে করে ক্ষুব্ধ হয়ে বখাটেরা ধারালো রামদা নিয়ে এসে সকাল ১১ টায় তাকে এলোপাতাড়ি কোপানো শুরু করে।
এরপর তার বাবা মাকেও অবরুদ্ধ করে রাখে এবং তাদের বাসায় বসে মাদক সেবন করতে না দিলে তাদের ছেলেকে অস্ত্র দেখিয়ে হাত পা কেটে প্রানে মেরে ফেলারও হুমকি ধামকি দেয় হামলাকারী সৈকত, সাইফুল, তৌফিক, ইব্রাহীম সহ আরো দুই তিন জন।হামলাকারীরা দিনমজুর মিলন শেখের বাম পায়ে ধারালো রামদা দিয়ে কোপ দেয়ায় তার পায়ের রগ কেটে রক্তাক্ত হলেও এর উপর অন্যান্যরা তার মাথায় রামদা দিয়ে কোপ দিতে গেলে হাত দিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করায় দুই হাতের কব্জিতে কোপ লেগে অবস্থা আরো গুরুতর হয়।
এরপরই পুলিশ আসার খবর পেয়ে হামলাকারীরা পালিয়ে গেলেও কাউনিয়া থানা পুলিশ শেবাচিম হাসপাতালে গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসা নেয়া ভুক্তভোগীর পরিবার কে জানায় স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বরের মাধ্যমে মিমাংসা করে নিতে। মামলা নিতে গড়িমসি করার সুনির্দিষ্ট কারন হিসেবে জবাব না দিতে পারলেও তারা বলেন আমরা গরীব দিন আনি দিন খাই তাই তাদের জন্য কোন ন্যায় বিচার নেই এই দুনিয়ায়।
অপরদিকে মিমাংসায় রাজি না হওয়া এবং মামলার পস্তুতি নেয়ার মামলা না দিতে বিভিন্ন ভাবে তাদেরকে প্রান নাশের হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী নিজে এবং তার স্ত্রী ও স্বজনরা।
এ বিষয় কাউনিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান জানায় তারা অভিযোগ পেয়েছেন তারা বিষয় টি তদন্তের মাধ্যমে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।