প্রতিনিধি ৩ নভেম্বর ২০২৩ , ৯:১৪:১৫ প্রিন্ট সংস্করণ
তালাশ প্রতিবেদক॥ ইলিশ আহরণ, পরিবহন এবং কেনাবেচার ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে গেলো মধ্যরাতে। এ সময়ের মধ্যে বরিশালে বিভাগের বিভিন্ন নদীতে অভিযান পরিচালনা করে ৭৮৪টি মামলায় ৮০৮ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তাদের কাছে থেকে ১৫ লাখ ৩৮ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এর মধ্যে শুধু শেষ দিনের ২৪ ঘণ্টায় ২৮ জেলেকে কারাদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি ২ লাখ ২৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
বিভাগীয় মৎস্য অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে বরিশাল বিভাগে ২ হাজার ৮৩৭টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে এবং ১ হাজার ১৮টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। যেখানে গেলো ২২ দিনে বরিশাল বিভাগের ৩১০ বার বিভিন্ন মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, ৪ হাজার ৩৫৮ বার বিভিন্ন মাছঘাট, ৭ হাজার ৪৭৩ বার বিভিন্ন আড়ত ও ৪ হাজার ৮৬৬ বার বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন করেছে মৎস্য অধিদপ্তরে জেলা ও উপজেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
আর এ সময়ের মধ্যে অভিযানে ১৬ হাজার ১২৩ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি ১০ কোটি ৭৮ লাখ ৩৩ হাজার টাকা মূল্যের ৫২ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ মিটার অবৈধ জাল জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া জব্দ হওয়া সামগ্রী নিলাম করে আয় হয়েছে ১০ লাখ ৫৬ হাজার ২০০ টাকা। এদিকে বিভাগের ৬ জেলার অভিযানের তথ্য অনুযায়ী, সব থেকে বেশি ৪৮৬ জনের কারাদণ্ড হয়েছে বরিশাল জেলায়। আর সব থেকে কম হয়েছে বরগুনা জেলায়। এছাড়া সবচেয়ে বেশি সাড়ে ১০ টন ইলিশ জব্দ হয়েছে বরিশাল জেলার অভিযানগুলোতে। তবে সবচেয়ে বেশি সোয়া ২২ লাখ মিটার অবৈধজাল জব্দ হয়েছে ভোলা জেলায়। সেই সঙ্গে এই জেলায় নিলামকৃত আয়ের পরিমাণও সব থেকে বেশি ৮ লাখ ১৬ হাজার ৮ শত টাকা।
মৎস্য বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন জানান, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে জেলা-উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ, জেলা ও মেট্রোপলিটন পুলিশ, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সার্বিক সহযোগিতা করেছেন।