প্রতিনিধি ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ , ৬:২১:৫৫ প্রিন্ট সংস্করণ
স্পোটর্স রিপোর্টার ॥
ঘরোয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের জনপ্রিয় আসর চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) সিলেট স্ট্রাইকার্সকে হারিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে ফরচুন বরিশাল। গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শেষ পর্বে দিনের প্রথম ম্যাচে সিলেটকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করে বরিশাল। আগে ব্যাট করে ১৮.১ ওভারে ১১৬ রানে অলআউট হয় সিলেট। জবাবে অধিনায়ক তামিম ইকবালের হার না মানা হাফসেঞ্চুরি ও উইকেটরক্ষক ব্যাটার মুশফিকুর রহিমের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ২৪ বল হাতে রেখেই ২ উইকেট হারিয়ে ১২০ রান করে বড় জয় তুলে নেয় বরিশাল।
ম্যাচ জিতে নয় খেলায় সাত জয় ও দুই হারে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দুইয়ে থেকে দ্বিতীয় দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করে বরিশাল। এর আগে সমান ম্যাচে আট জয় ও এক হারে ১৬ পয়েন্ট পেয়ে শীর্ষে থেকেই প্রথম দল হিসেবে প্লে-অফে গেছে রংপুর রাইডার্স। অন্যদিকে এই হারে বিদায় হয়ে গেল সিলেটের। দশ ম্যাচ শেষে দুই জয় ও আট হারে মাত্র ৪ পয়েন্ট পেয়ে সাত দলের টুর্নামেন্টে তলানীতে আছে সিলেট।
এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সিলেটের অধিনায়ক আরিফুল হক। ব্যাট করতে নেমে শুরুতে বরিশালের আফগান স্পিনার মোহাম্মদ নবী ও পরবর্তীতে পাকিস্তানি পেসার ফাহিম আশরাফের বোলিং তোপে পড়ে সিলেট স্ট্রাইকার্স। বরিশালের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সিলেটের কোনো ব্যাটারই থিতু হতে পারেননি। আট ওভারের মধ্যে দলীয় মাত্র ৪৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে অনেকটাই কোনঠাসা হয়ে পড়ে দলটি। দলের হয়ে মাত্র চার ব্যাটার নিজেদের সংগ্রহ দুই অঙ্কের ঘরে নিতে পারেন। বাকি সাতজনের সংগ্রহ ছিল এক অঙ্কের ঘরে। একটা সময় মনে হয়েছে দলীয় শত রানের আগে বুঝি গুটিয়ে যাবে সিলেটের ইনিংস। কিন্তু না, পাকিস্তানি ব্যাটার আহসান ভাট্টি ও স্থানীয় উইকেটরক্ষক ব্যাটার জাকের আলীর দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত একশ’ পেরিয়ে সংগ্রহ পায় সিলেট। দলটির হয়ে ২৯ বলে ১ চারর ও ২ ছক্কায় সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন আহসান ভাট্টি। জাকের আলী ১৯ বল খেলে ৩ চার ও ১ ছয়ে করেন ২৪ রান। এছাড়া তানজিম হাসান সাকিব ৮ বলে ১টি করে চার ও ছয়ে ১৩ এবং আরিফুল হক ১৩ বলে এক বাউন্ডারির মারে ১২ রান করেন। বরিশালের হয়ে ফাহিম আশরাফ মাত্র ৭ রান খরচায় শিকার করেন ৫টি উইকেট। মোহাম্মদ নবী ২৬ ও জেমস ফুলার ২৩ রানে পান ২টি করে উইকেট।
জবাবে মামুলী লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ফরচুন বরিশাল। ছয় ওভারের মধ্যে ৩৯ রানে তারা হারায় দুই ব্যাটারকে। তবে দারুণ খেলে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম। ওপেনার তাওহীদ হৃদয় ৭ বলে এক বাউন্ডারিতে ৬ ও ডেভিড মালান ৮ বলে ২ চারের মারে ৯ রান করে আউট হলেও জয় পেতে কষ্ট হয়নি বরিশালের। তৃতীয় উইকেটে তামিম ও মুশফিক মিলে অবিচ্ছিন্ন ৮১ রানের জুটি গড়ে দলের বড় জয় নিশ্চিত করেন। তামিম ৫১ বলে ৬ চারে অপরাজিত ৫২ রান করেন। অন্যদিকে মুশফিক ৩০ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন।
সিলেটের নাহিদুল ইসলাম ২৪ ও সুমন খান ১৭ রান খরচায় পান ১টি করে উইকেট। দুর্দান্ত বোলিং করে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন বরিশালের ফাহিম আশরাফ।