প্রতিনিধি ৩ নভেম্বর ২০২১ , ৪:০০:০৪ প্রিন্ট সংস্করণ
তালাশ ডেস্ক :- রিশাল জেলার মুলাদী উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নে ১নং ওয়ার্ডে মেম্বার প্রার্থী হয়েছেন হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামী মো. রিপন সরদার। আসন্ন ইউপি নির্বাচনে অবৈধ মাদকের কালো টাকায় মেম্বার হতে মরিয়া হয়ে গেছে চিহ্ন এই মাদক কারবারি। এ নিয়ে ১নং ওর্য়াড চরসাহেব-রামপুর এলাকায় চলছে তোলপাড়।
এছাড়া হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে জেল খাটা আসামি রিপন বর্তমান যুব সমাজকে ধ্বংসের যে পায়তারা করে যাচ্ছে তার মেম্বার প্রার্থী হিসেবে প্রকাশ্যে প্রচারণায় এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে। জানা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ২৮ নভেম্বর বাটামারা ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ। নির্বাচনে চেয়ারম্যান, মহিলা মেম্বার ও মেম্বার প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা প্রদান হলেও, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই পর্যায়ে রয়েছে জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে।
এর মধ্যে রয়েছেন ১নং ওয়ার্ডের প্রার্থী হিসেবে এই মুর্তিমান আতঙ্ক। এই নিয়ে জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে চরম। একজন চিহ্নিত মাদক কারবারি ও একাধিক মামলার আসামি কিভাবে ইউনিয়ন পরিষদের মত এত গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারে? সেই যদি আবারো মাদকের কালো টাকায় মেম্বার হয় তাহলে যুব সমাজকে মাদকের কালো থাবা থেকে রক্ষা করা কঠিন হবে বলে মনে করেন স্থানীয় ভোটারা।
এদিকে স্থানীয় ভোটারদের জোড়পূর্বক তার পক্ষে প্রচারণা করানোরও অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রচার-প্রচারণা শুরু হওয়ার আগেই এলাকার বিভিন্ন স্থানে রিপনের নেতৃত্বে শোডাউন করতে দেখা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় ভোটারারা জানান, রিপন মেম্বার হলে আমাদের এলাকা ধংসের দিকে চলে যাবে। তার কারণে এলাকার যুব সমাজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমরা রিপনের মত মাদক কারবারি ও একাধিক মামলার আসামি কে আমাদের জনপ্রতিনিধি বানাতে চাই না। প্রশাসনের কাছে আমরা দাবী জানাই যাতে, কোন মাদক কারবারি এবং হত্যা মামলা সহ একাধিক মামলার আসামী নির্বাচনে দাঁড়াতে না পারে।
মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার বিষয়টি স্বিকার করে মেম্বার পদপ্রার্থী রিপন সরদার জানান, আমার এলাকায় ফিল্ড ভালো, এই ভালো ফিল্ড দেখে আমার প্রতিদ্বনী প্রার্থীরা আমাকে হেয় করতে উঠে পড়ে লেগেছে। আমি গত নির্বাচনেও বিপুল ভোট পেয়েছিলাম কিন্তু আমার একটি মামলার সুযোগ নিয়েছে অন্য প্রার্থীরা। এব্যাপারে মুলাদী উপজেলা নির্বাচন অফিসার দেলোয়ার হোসেন জানান, ‘যদি কোন প্রার্থী তথ্য গোপন করে থাকে আর যদি সেটি আমাদের নজরে আসে তাহলে নিয়অনুযার্থী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’