প্রতিনিধি ৬ ডিসেম্বর ২০২৩ , ২:১৪:৩৯ প্রিন্ট সংস্করণ
তালাশ প্রতিবেদক ॥ গত পাঁচ বছরে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল-৫ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কর্নেল অব. জাহিদ ফারুক শামীমের আয় বেড়েছে ৩৭ গুণ। এ ছাড়া একই সময়ে তার স্ত্রী দুই কোটি ২৩ লাখ ১৯ হাজার ৯৯৫ টাকার মালিক হয়েছেন। একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে হলফনামায় দেওয়া তথ্য থেকে এ হিসাব পাওয়া গেছে।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে দেওয়া হলফনামায় জাহিদ ফারুক তার স্ত্রীর নামে কোনো সম্পদ উল্লেখ করেননি। কিন্তু দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্ত্রীর নামে দুই কোটি ২৩ লাখ ১৯ হাজার ৯৯৫ টাকা থাকার কথা উল্লেখ করেছেন। এর মধ্যে নগদ আছে ৯২ লাখ ১৯ হাজার ৯৯৫, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ৫৬ লাখ টাকা, স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ৭০ লাখ টাকা ও ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগ ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা আর ৫০ হাজার টাকার সোনার গহনা।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় স্ত্রীর নামে ৩০ ভরি সোনার গহনার কথা উল্লেখ করলেও দ্বাদশের হলফনামায় উল্লেখ করেছেন মাত্র ১০ তোলা সোনার গহনা।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে জাহিদ ফারুক তার বছরে আয় দেখিয়েছিলেন ৪ লাখ ৫১ হাজার ৮০২ টাকা। দ্বাদশ সংসদের হলফনামায় বছরে আয় দেখিয়েছেন এক কোটি ৬৭ লাখ ৬০ হাজার ৬৫৮ টাকা।
নগদ অর্থ বেড়েছে ৫ গুণেরও বেশি
একাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় জাহিদ ফারুক নগদ অর্থ দেখিয়েছিলে ১০ লাখ ৯৪ হাজার ৯২৫ টাকা। দ্বাদশের হলফনামায় নগদ অর্থ দেখিয়েছেন ৫৮ লাখ ১১ হাজার ৬০৩ টাকা। একাদশ সংসদের হলফনামায় জাহিদ ফারুক শামীম ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কোনো জমা উল্লেখ করেননি। কিন্তু দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনি হলফনামায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা হিসেবে দেখিয়েছেন এক কোটি ৯ লাখ। একইভাবে একাদশে বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জ তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির কোনো শেয়ারের কথা উল্লেখ না করলেও দ্বাদশে এ খাতে ১১ লাখ ২৫ হাজার টাকা দেখিয়েছেন।
একাদশে ও দ্বাদশে নিজে একটি ২৬ লাখ ৮৯ হাজার ৪৫০ টাকা মূল্যের এলিয়েন কারের কথা উল্লেখ করেছেন। একাদশে নিজের নামে ২০ ভরি সোনার গহনার কথা উল্লেখ করলেও দ্বাদশে করেছেন মাত্র ২০ তোলা। একাদশে আড়াই লাখ টাকা মূল্যের ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী দ্বাদশে হয়েছে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা। এ ছাড়া একাদশে দেড় লাখ টাকার আসবাবপত্রের মূল্য দ্বাদশ সংসদের নির্বাচনি হলফনামায় ৭০ হাজার টাকা উল্লেখ করা হয়েছে।
একাদশ সংসদের নির্বাচনি হলফনামায় ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা মূল্যের কৃষি জমির কথা উল্লেখ করেছিলেন। তবে দ্বাদশের হলফনামায় বরিশাল নগরীর বাংলাবাজার ও ঢাকার বারিধারায় এক কোটি এক লাখ ১৯ হাজার ২৫০ টাকা মূল্যের নাল এবং ভিটাবাড়ি রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
একাদশে পেশা হিসেবে ব্যবসা উল্লেখ করলেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনি হলফনামায় নিজেকে উল্লেখ করেছেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে পূবালী ব্যাংকের সিপাহীবাগ বাজার শাখায় গাড়ি ক্রয় বাবদ ৬ লাখ ৯০ হাজার ৭৮৬ টাকা ঋণ ছিল। ছিল একটি মামলা আদালত থেকে খারিজের তথ্য ছিল। তবে দ্বাদশ সংসদের হলফনামায় এ বিষয়টির উল্লেখ নেই।