বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রলীগ ঘরে ফিরে যাবে না
তালাশ প্রতিবেদক ॥ বরিশাল সদর উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে মতবিনিময় সভা, ইফতার ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৫ টায় বগুড়া রোডস্থ নাজেমস রেস্তোরাঁয় এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
সভা ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আগামী উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বরিশাল মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব মাহমুদুল হক খান মামুন। মতবিনিময় সভায় উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ খান মামুনের পক্ষে সবাই ঐক্যবদ্ধ জানিয়ে বলেন, ত্যাগী নেতা খান মামুন একজন আদর্শ বান মানবিক মানুষ। সদর উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা একযোগে সবাই আগামী নির্বাচনে মাহামুদুল হক খান মামুনের পক্ষে কাজ করে যাবে। এ লক্ষে ইতিমধ্যেই ঘরে ঘরে খান মামুনের জন্য ব্যাপক প্রচারনা চালানো হচ্ছে। আমরা সদর উপজেলা ছাত্রলীগ গ্রাম-গঞ্জে ব্যাপক সারা পেয়েছি। আমরা অঙ্গিকারবদ্ধ হয়েছি বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত সদর উপজেলা ছাত্রলীগ ঘরে ফিরবে না। ইনশাআল্লাহ ১০ ইউনিয়নের মানুষের ভালোবাসায় খান মামুন আগামী দিনে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবে।
আলোচনা সভায় খান মামুন বলেন, রমজান সংযমের মাস। আমাদেরর একটাই লক্ষ্য, বাংলাদেশকে উন্নত করা।’ ৪১ এর স্মার্ট বাংলাদেশের কাণ্ডারি হবে ছাত্রলীগ, সেটাই আমি তোমাদের কাছে চাই। শুধু’ ৪১ সালে থেমে থাকবে না, ডেল্টা প্ল্যানও করে দিয়েছি। কেউ বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা থামাতে পারবে না। এজন্য অতন্দ্র প্রহরীর মতো থাকতে হবে।
এ সময় দেশের প্রতিটি অধিকার আদায়ের সংগ্রামে ছাত্রলীগের অগ্রণী ভূমিকা পালনের বিষয়টি উল্লেখ করে খান মামুন বলেন, ‘ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাই হয়েছিলো মুক্তিকামী মানুষকে মুক্তি দেওয়ার জন্য। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এই সংগঠন, যে সংগঠন প্রতিটি অর্জনের সঙ্গে জড়িত। শহীদের তালিকায় ছাত্রলীগই অগ্রণী। এদেশের প্রতিটি অধিকার আদায়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। বাংলাদেশের ইতিহাস ছাত্রলীগেরই ইতিহাস।’
‘১৫ আগস্টের পর ছাত্রলীগই প্রথম প্রতিবাদ করে। ছাত্রলীগই হচ্ছে সেই তারুণ্যের শক্তি, যে শক্তি একদিন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। ছাত্রলীগ যেকোনো সময় দুর্যোগ-দুর্বিপাকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। ১/১১ এর সময়ে ছাত্রলীগ আপোষ করেনি সর্বপ্রথম মাঠে নেমে এর প্রতিবাদ করেছে। করোনার সময়ে ছাত্রলীগকে দেখেছি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাদের হাসপাতালে নেওয়া, খাদ্যের ব্যবস্থা করা, চিকিৎসার জন্য যা কিছু প্রয়োজন ছাত্রলীগ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। করোনার সময়ে শ্রমিক সংকটে ছাত্রলীগ কৃষকের ধান কেটে দিয়েছে।”
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতাকে হত্যার পর যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা বিজয়ের ইতিহাস, বঙ্গবন্ধুর নাম, ৭ মার্চের ভাষণ, জয় বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ, রেডিওসহ সব নাম পরিবর্তন করেছে মোশতাক-জিয়ারা। জিয়া ক্ষমতায় এসেছিলো আমাদের চেতনাকে ধ্বংস করার জন্য। আজকে অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা মানবাধিকারের কথা বলে। আমার প্রশ্ন, ১৫ আগস্ট যখন মা-বাবা সব হারালাম, আমাদের তো বিচার চাওয়ার অধিকার ছিলো না। আমরা তো বিচার চাইতে পারিনি।’
মতবিনিময় সভা ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বরিশাল সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইমরান হোসেন রিয়াজ। এ সময় সভায় বক্তব্য রাখেন বরিশাল সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম মেহেদী হাসান বাপ্পী, বন্দর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাওন পারভেজ, চরমোনাই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহতাদীন ইসলাম হিমেল, কড়াপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম, বন্দর থানা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক, কামরুজ্জামান সরদার বাবু, শায়েস্তাবাদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা রিফাত হোসেন, চরবাড়ীয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা ওবায়দুর রহমান শাওন, চাঁদপুরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা ইমরান হোসেন, শাহিন আহমেদ, চরকাউয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা প্রিন্স আকন লাবু, চরমোনাই ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা ওমর ফারুক,আল-আমিন,সুরুজ হোসেন জয়, মোঃ রাজু আহমেদ, রিয়াজ উদ্দিন, ফয়সাল আহমেদ, কাওসার আহমেদ, নাঈম শরীফ, রাসেল, প্রিন্স সরদারসহ সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।