প্রতিনিধি ৩ আগস্ট ২০২০ , ১২:৪৫:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ
জিহাদ রানা॥ একজন সরকারী কর্মকর্তা অথবা কর্মচারী হওয়া পরিবার ও একজন শিক্ষিত বেকারের স্বপ্ন, সেই সোনার হরিনের সন্ধান পাওয়া মানুষ গুলো জীবন আনন্দ গুলো বদলে যায় তাদের দায়িত্বের কাছে।
কারো চাকরির বয়স ৫ বছর কারো বা এক যুগেরও বেশি। কেউ হয়তো পুলিশ বা প্রশাসনে যোগ দেয়ার পরে একটি ঈদ অথবা একটি ও নয়। জীবনের বেশিরভাগ ঈদ তাই কেটে যায় পরিবারপরিজন ছাড়া কর্মস্থলে। তাদের এই বারের ঈদের আবেগঘন স্ট্যাটাস ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে সাধারন মানুষের মনে দাগ কাটে।
এবারের ঈদে একেবারেই ব্যাতিক্রম পুলিশ ও জেলা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেদের, করোনাকালীন এ সময়েও একেবারে সম্মুখে থেকে মানুষকে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা, জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ ঈদে নগরবাসীকে স্বস্তি দিতে যুদ্ধ করতে হয়েছে তাদের।
ঈদের দিন সকালেও যথারীতি কর্মব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন করোনা রোগীদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঈদ উপহার পৌছে দিতে, ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে পুরো পরিবার রেখে বরিশালে আছেন সদ্যবিবাহিত হয়েও স্ত্রীরে সাথে কাটাতে পারেনি প্রথম ঈদ, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমুল হুদা। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ জন সচেতনতা, রমজানের বাজার মনিটরিং ও ঘূর্ণিঝড় আম্পান সহ মোবাইল কোর্টে পরিচালনায় কেটেছে তার কর্মব্যস্ত সময়।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ, আইসিটি এন্ড মিডিয়ার দ্বায়িত্বে থাকা ওবায়দুল হক ,২০০৬ সালে পুলিশে চাকরিতে যোগদান । এত বছরে ঈদে ছুটি পেয়েছেন হাতেগোনা। যদিও পুলিশ বাহিনীর জন্য ঈদে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা থাকলেও মন পড়ে থাকে পরিবারের কাছেই । প্রিয় নানুকে ছাড়া প্রথম ঈদ স্মরণ করতেই চোখের কোনে পানি চলে আসে ওবায়দুল’র, বাংলাদেশ টুডেকে দেয়া বক্তব্যের সময় দেখা মেলেনি মলিন মুখের বলেন, জন নিরাপত্তায় শান্তি চলে এসেছে এটা একটা গর্বের কাজ রাস্তায় আর অনলাইনে এক সাথেই সবার জীবনের নিরাপত্তা দিচ্ছি এটাই এক ধরনের সুখ। করোনা কালে ফেসবুক আইডি হ্যাক, সাইবার ক্রাইমার সনাক্তকরন, প্রশাননিক প্রটোকল নিশ্চিত করন ও জন সচেনতায় কেটেছে ওবায়দুল এর কর্মব্যস্ত সময়।
এক সন্তানের জনক মোঃ রাজিব হোসেন, বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়, আইসিটি এন্ড মিডিয়া সেল এর দায়িত্বরত একজন কনস্টেবল। প্রথম সন্তানের সাথে প্রথম বারের ঈদে কাটাতে পারেনি নিজ দায়িত্বের জন্য। মা আর ছেলের কথা মনে করতেই ভারি হয়ে যায় কন্ঠ, আবেগের স্ট্যাটাস পাওয়ার তার ও ফেসবুক ওয়ালে, দূরে থেকেও নিজ জেলা ভোলার জন্য গড়ে তুলেছেন মনিরাম সেবা ইউনিটি নামে একটি সংগঠন ঈদ উপলক্ষে ৯০ পরিবারকে দিয়েছেন খাদ্য সহায়তা দূরে থেকে পাশের থাকার চেস্টা করেছেন রাজিব।
ভিন্ন ধর্মের হলেও বন্ধুদের জন্য আর প্রিয় বাবা কে মিস করেছেন প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিরুপম মজুমদার, তার ফেসবুক ওয়ালে দিয়েছেন ঈদের শুভেচ্ছা। বাংলাদেশ টুডেকে দেয়া বক্তব্যে জানান, মুসলমানদের বড় উৎসব গুলোতে ও সকল বন্ধুরা এক হতে পারতাম এখন দায়িত্ব আসার কারনে সবার সাথে দেখা হয়না সুযোগ হয়না আড্ডার তবে জেলা প্রশাসন এর সকল স্টাফ ও ডিসি তাদের একই পরিবারে মতই তাই মানিয়ে নিয়ে কেটে যাচ্ছে একটি ঈদের আনন্দ ভাগাভাগির দিন গুলো, সবার মাঝেই খুঁজে পাই পরিবারের সুখটা।