দেশজুড়ে

ভোলায় স্ত্রীকে মৃত ভেবে মুখে বিষ ঢেলে পালিয়ে যায় স্বামী শাহাবুদ্দীন!

  প্রতিনিধি ১৪ ডিসেম্বর ২০২০ , ১১:৫২:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ

আকতারুল ইসলাম আকাশ,ভোলা॥ ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের সোনাডগী গ্রামে রোজিনা হত্যা মামলা হয়েছে। বুধবার ৯ ডিসেম্বর নিহত রোজিনার মা জাহানারা বেগম জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে রোজিনার স্বামী শাহাবুদ্দীনসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর-৮১৬/২০২০। আদালত মামলাটির তদন্তভার ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

 

মামলার ৮ আসামি হলেন, ১। রোজিনার স্বামী শাহাবুদ্দীন, ২। শশুড় রুহুল আমিন, ৩। শাশুড়ি নূর জাহান বেগম, ৪। বাশুর মহিউদ্দিন, ৫। চাচা চাঁন মিয়া, ৬। ফুফু নাছিমা বেগম, ৭। চাচা হারুন ও চাচা জাকির হোসেন।

 

মামলার বিবরনে বলা হয়েছে, ২৪ নভেম্বর মধ্যরাতে ও সকালে মামলার প্রধান আসামি রোজিনার স্বামী শাহাবুদ্দীন রোজিনাকে বেধড়ক মারধর করে ঘরের মাটিতে লুটিয়ে রাখেন। এসময় রোজিনার পিতা আব্দুল হক রোজিনাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসলে মামলার দুই নম্বর আসামি রুহুল আমিন ও মহিউদ্দিন আব্দুল হককে বাধা দেয়। এসময় আসামি চান মিয়া, হারুন ও জাকির মাটিতে লুটিয়ে থাকা রোজিনাকে কিলঘুষি ও লাথি মারে। এক পর্যায়ে আসামি নুরজাহান ও নাছিমা বেগমের সহযোগিতায় স্বামী শাহাবুদ্দীন রোজিনার মুখে জোরপূর্বক বিষাক্ত কীটনাশক ঢেলে দিলে কীটনাশকের বিষাক্ত ছোবলে দরফাইতে দরফাইতে মহুর্তের মধ্যেই রোজিনার মৃত্যু হয়।

 

রোজিনার মৃত নিশ্চিত হওয়ার পর পালিয়ে যায় ঘাতক স্বামী শাহাবুদ্দীন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নিতে চাইলে আসামিদের প্ররোচনায় পরে রোজিনার পরিবার শোকে মুহ্যমান অবস্থায় পুলিশকে ঘটনার প্রকৃত কারণ জানায়নি বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

 

উল্লেখ গত ২৪ নভেম্বর সকাল ৭টায় ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের সোনাডগী গ্রাম থেকে নিহত রোজিনার বিষাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে তা ২৫ নভেম্বর রোজিনার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

আরও খবর

Sponsered content