প্রতিনিধি ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ১১:১১:১৩ প্রিন্ট সংস্করণ
বরগুনা প্রতিবেদক॥ বরগুনার বেতাগী উপজেলায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাত করার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের বাসন্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাইফুর রহমান সুজনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনার পরপরই রোববার বিকেলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ভুক্তভোগী ৫ম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীর নাম ইমা আক্তার। সে হোসনাবাদ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ইলিয়াস হাওলাদারের মেয়ে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাদিয়াকে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পড়া জিজ্ঞাসা করেন। এ সময় সে ধীর গতিতে পড়া দেওয়ায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাকে বেতের লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর ও গালিগালাজ করেন।
মারধরের একপর্যায়ে সে অসুস্থ হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এরপর স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। পরে শিক্ষার্থী ইমার জ্ঞান ফিরলে স্কুলের অফিস সহায়কের মাধ্যমে তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে শিক্ষার্থী বাসায় এসে বমি করে। তার মা বমির কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে শিক্ষার্থী সব ঘটনা খুলে বলে। এরপর সন্ধ্যায় তাকে বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
শিক্ষার্থীর মা শিরিনা বেগম বলেন, ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের শাসন করতেই পারেন। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেতের লাঠি নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও একজন শিক্ষক কীভাবে বেত দিয়ে আঘাত করে। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমার মেয়েকে শাসনের নামে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে।
মেয়েটির পশ্চাৎদেশে জখম রয়েছে। সে দাঁড়াতে পারছে না। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’ অভিযোগ অস্বীকার করে বাসন্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাইফুর রহমান সুজন বলেন, ‘তাকে পেটানো হয়নি। শুধু তিরস্কার করা হয়েছে। এরবেশি কিছু নয়।’
বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিপুল সিকদার বলেন, ‘শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাতের অভিযোগ পাওয়ার পর উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’