প্রতিনিধি ২৮ মে ২০২৪ , ৩:৪৪:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ
বরগুনা প্রতিবেদক ॥ ঘূর্ণিঝড় ‘রেমালের’ ১৫ ঘণ্টা তাণ্ডবে একজনের মৃত্যু ও ১২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শামিম মিয়া। জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ রোববার থেকে সোমবার পর্যন্ত তাণ্ডব চালিয়েছে। সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের লেমুয়া গ্রামের খুতি বয়াতির ছেলে রহিম বয়াতি (৫৫) সোমবার দুপুরে গাছ চাপায় নিহত হয়েছেন।
রহিম বয়াতির ভাই হানিফ বয়াতি জানান, সোমবার দুপুরে রহিম বয়াতির ঘরের ওপর একটি গাছ উপড়ে পরে। সেই গাছটি সরাতে গেলে রহিমের ওপর আর একটি গাছ পড়ে। ঘটনাস্থলে রহিম মারা যায়।
ইউএনও শামিম মিয়া বলেন, এ তথ্য আমাদের কাছে আগে আসেনি। আমরা রহিমের পরিবারকে সহায়তার ব্যবস্থা করব। এ ছাড়া বরগুনা জেলায় ১৫ ঘণ্টার তাণ্ডবে ৬ হাজার হেক্টর কৃষি জমি প্লাবিত হয়ে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ৪ হাজার ১৫৭ হেক্টর মাছের ঘের ও জলাশয় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
প্রাথমিক তথ্যানুযায়ী, জেলার আনুমানিক ৩ হাজার ৩৭৪টি ঘর সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত এবং ১৩ হাজার ৩৪টি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার ৬টি উপজেলার প্রায় তিন শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ১২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের বেশি ক্ষতি হয়েছে বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের রামরা ও আয়লা গ্রামে। দুই পয়েন্টের বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বড় বড় গাছ উপড়ে পড়ে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সোমবার বরগুনা শহরের কিছু অংশে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকু জানান, যেসব বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলো মঙ্গলবার থেকে কাজ শুরু করবে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। তিনি আরও বলেন, আমি ইতিমধ্যে বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড, সড়ক ও জনপদ ও এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছেন- মঙ্গলবার থেকে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামতের কাজ শুরু করবেন।
জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের টিম দিনরাত কাজ করছে। প্রাথমিকভাবে যে তথ্য জানা গেছে- তার চেয়েও বেশির ক্ষতি হতে পারে। বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে আমরা জানাব।