প্রতিনিধি ৪ জুলাই ২০২০ , ৮:৫৩:২৯ প্রিন্ট সংস্করণ
তালাশ ডেস্ক॥ বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় এ পর্যন্ত মোট তিন হাজার ১৯৮ জনের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৭৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬৮ জনের।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় ১৪২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আর গেল ২৪ ঘণ্টায় ভোলা ও ঝালকাঠি ব্যতীত বিভাগের চার জেলায় ৩৩ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন।
পাশাপাশি সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, সম্প্রতি মৃত্যুবরণ করা বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার আবুল কালাম আজদ (৫৭) ও পটুয়াখালী সদরের সেলিনা বেগমের (৫৭) রিপোর্টে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। ফলে এ নিয়ে বিভাগে মোট মৃত্যুর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮ জনে।
এদিকে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে বিদেশি নাগরিকসহ ভিন্ন জেলা (সংক্রমিত) থেকে আসা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনে রাখার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ফলে গত ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল সিটি করপোরেশনসহ বিভাগের ছয় জেলায় মোট ২২ হাজার ৫৯৫ জনকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়।
যার মধ্যে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয় ১৯ হাজার ৬৬৮ জনকে। এর মধ্যে ১৬ হাজার ৪৯৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বর্তমানে বিভাগের বিভিন্ন জেলায় হাসপাতালে (প্রতিষ্ঠানিক) কোয়ারেন্টিনে দুই হাজার ৯২৭ জন রয়েছেন। এ পর্যন্ত এক হাজার ৪৮৭ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এর বাইরে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসা পাওয়া রোগীর সংখ্যা এক হাজার ৩১৫ জন। এরইমধ্যে ৮৮৮ জনকে ছাড়পত্রও দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শুধুমাত্র বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশন ও করোনা ওয়ার্ডে মোট ১০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এ পর্যন্ত। যার মধ্যে ৩৮ জন করোনা পজিটিভ রোগী ও বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।
এদিকে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানিয়েছেন, বিভাগের মধ্যে এ পর্যন্ত বরিশাল জেলায় এক হাজার ৬৬৩ জন, পটুয়াখালীতে ৪৭১ জন, ভোলায় ৩১৯ জন, পিরোজপুরে ২২৬ জন, বরগুনায় ২৭৮ জন ও ঝালকাঠিতে ২৪১ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে গোটা বিভাগে এক হাজার ৭৯ জন করোনা পজিটিভ রোগী সুস্থ হয়েছেন। যাদের এরইমধ্যে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া মৃত্যু হওয়া করোনা পজিটিভ ৬৮ জনের মধ্যে বরিশাল নগরসহ জেলায় ২৫ জন, পটুয়াখালীতে ২২ জন, ঝালকাঠিতে আটজন, পিরোজপুরে পাঁচজন, ভোলায় চারজন ও বরগুনায় চারজন রয়েছেন।