প্রতিনিধি ১৮ জুন ২০২১ , ১০:৪২:০০ প্রিন্ট সংস্করণ
তালাশ ডেস্ক ॥ এবার বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা হ্যাপি বেগম জনৈক প্রবাসীর ক্রয়কৃত জমিতে টিনের ঘর নির্মাণ করার তথ্য পাওয়া গেছে। ঘটনাটি বিমানবন্দর থানাধীন গড়িয়ারপার (গজালিয়া) নামক স্থানে ঝড়বৃষ্টিকে উপেক্ষাকরে ১০-১২জন গুন্ডাপান্ডা নিয়ে তড়িঘরি করে ঘর নির্মান করেন ।
স্থানীয়রা জানায়, গতকাল দুপুরে সাড়ে ১২টায় আকাশে রিমঝিম বৃষ্টি আর বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে তেমন লোকজন না থাকায় বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা মোসাম্মৎ হ্যাপি বেগম, নান্না মিয়া এবং মাহমুদুর রহমানসহ ১০/১২জন জনৈক লোকজন মিলে আব্দুল শরীফ বাদশা পিতা: আব্দুল লতিফ শরীফ, সাং-উত্তর কড়াপুর, থানা: বিমানবন্দর এর ক্রয়কৃত সাবকবলা জমিতে ওই একচালা টিনের ঘর নির্মানের প্রমাণ দিয়েছে সেখানে থাকা আমাদের প্রতিনিধি আব্দুল আজিজ শরীফ।
তিনি জানান, গত ১ যুগ আগে অর্থাৎ ২০০৮ সালের ২৩ এপ্রিল মোঃ দেলোয়ার শরীফ এর কাছ থেকে ৭৯৮নং খতিয়ানে ১২ শতক জমি ক্রয় করে। জমি খরিদ করার পর থেকে আজ অবদি তিনি ভোগদখল কর আসছেন। কিন্তু বিবাদীগণ দস্যু প্রকৃতির হওয়ায় প্রবাসী বাদশার ক্রয়কৃত জমিতে অবৈধ প্রবেশ করে প্রচলিত আইনকে লঙ্ঘন করেছে। স্থানীয়সূত্র জানায়, একই দাতার কাছ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা কিছুসংখ্যক জমি ক্রয় করেছে প্রবাসীর জমি ক্রয়ের দুই বছর পরে অর্থাৎ ২০১০ সালে। যার নং-৩১৭০।
এদিকে প্রবাসী বাদশা ৮৫৩ নং দলিল সমেত ১২ শতাংশ জমি ব্যাংক কর্মকর্তার ২ বছর পূর্বে খরিদ করে নিজ নাম ও দাগ নম্বর দলিল নং লিখে ক্রয়কৃত স্থানে সাইনবোর্ড লাগিয়েছে। কিন্তু গতকাল দস্যুগণ প্রবাসীর ক্রয়কৃত জমি জবরদখল করে সাইনবোর্ড অন্যত্র ফেলে দেয় এবং তদস্থানে একচালা টিনের ঘর নির্মাণ করেন।
উপরোল্লিখিত ছবিতে সাইনবোর্ড এবং জবরদখলকৃত নির্মাণঘর সাক্ষ বহন করে। বিষয়টি নিয়ে বিমানবন্দর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ জালাল সালিশবৈঠক ডাকলেও তাকে তোয়াক্কা না করে প্রতিপক্ষ বেআইন কাজটি করে। উক্ত বিষয় বিমানবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ বাবু কমলেশকে বলা হলে তিনি জানান, যেখানে সালিশ বৈঠক প্রকৃয়াধীন এমতাবস্থায় অভিযোগকৃত ঘটনাটি ঘটিয়ে থাকলে খুবই দুঃখজনক।