স্কুল পড়ুয়া ১৮ বন্ধু মোটরসাইকেলে নিয়ে একসাথে ঘুরতে বেড়িয়ে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কে বাসের চাপায় ৩ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী শিক্ষার্থীদের চাপা দেয়া ঘাতক বাসটি আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বরিশাল নগরীর শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত সেতুতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে নিহত শিক্ষার্থীরা হলেন- জেলার বাকেরগঞ্জ পৌর শহরের সুমন হাওলাদারের পুত্র সিয়াম, জয়দেব দাসের পুত্র চয়ন দাস ও অপর শিক্ষার্থী রাব্বি।
এদের মধ্যে রাব্বি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশাল মেট্রোপলিটন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, দুর্ঘটনায় আহত তিন শিক্ষার্থীকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মাহাতাব হোসেন তাৎক্ষণিক ২ জনকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাব্বি নামের আরেক শিক্ষার্থী মারা যায়। ওসি আরও জানান, দুর্ঘটনার পরপরই মোটরসাইকেল আরোহী শিক্ষার্থীদের চাপা দেয়া রুপাতলী বাস মালক সমিতির রাতুল-রোহান নামক বাসটি আটক করা হয়েছে। তবে এর চালক ও তার সহকারী পলাতক রয়েছে। নিহতদের লাশ তিনটি শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে । প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোটরসাইকেলটি বেপরোয়া গতিতে বাসটি ওভারটেক করছিল।
তখন বিপরীত দিক থেকে আরেকটি বাস এসে পড়ায় নিয়ন্ত্রণ হারালে একটি বাস তাদের চাপা দেয়। পরে গুরুত্বর অবস্থায় আহতদের উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। নিহতের বন্ধু রাকিব ও তপু জানান, তারা বাকেরগঞ্জ জে.এস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র। ৬টি মোটরসাইকেলে ১৮ জন বন্ধু একসাথে বরিশালে ঘুরতে আসে। সন্ধ্যার পরপরই নগরীর শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত সেতুতে (দপদপিয়া) ওঠার সময় পেছন থেকে একটি বাস চয়ন, সিয়াম ও রাব্বিকে বহনকারী মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়।