প্রতিনিধি ৩ ডিসেম্বর ২০২৩ , ১:৩৮:২৬ প্রিন্ট সংস্করণ
তালাশ প্রতিবেদক॥ বরিশাল নগরীতে পুলিশ কর্মকর্তার হেলমেটের আঘাতে গুরুতর আহত মোঃ সজিব হোসেন (২৭) নামের এক নিরীহ সিএনজি চালককে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলাকারী পুলিশ কর্মকর্তা বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এএসআই মোঃ মারুফ। তিনি বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলে (এএসআই) কর্মরত আছেন বলে জানা গেছে। আহত সজিবের ছোট ভাই সাজ্জাদ কোতয়ালী মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে নগরীর সাগরদী পুল সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত সিএনজি চালক মোঃ সজিব নগরীর কাউনিয়া বাসু মিয়ার গলি এলাকার বাসিন্দা মান্নান হাওলাদারের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে সাগরদী পুল সংলগ্ন এলাকার ধান গবেষণা গলি থেকে মোটরসাইকেলযোগে বের হচ্ছিলেন এএসআই মোঃ মারুফ এবং একই দিক থেকে সদর রোড থেকে যাত্রী নিয়ে রুপাতলির দিকে যাচ্ছিলেন সিএনজি চালক সজিব। সে সময়ে সজিবের সিএনজির সাথে এএসআই মারুফের মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। এ সময় এএসআই মারুফ মোটরসাইকেল থেকে নেমেই চড়াও হন সিএনজি চালক সজিবের উপর। বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে তার সাথে থাকা হেলমেট দিয়ে সিএনজি চালকের মাথায় সজোরে আঘাত করেন তিনি। এতে চালক সজিবের মাথায় গুরুতর জখম হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে সিএনজির যাত্রী বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তখন এএসআই মারুফ শিক্ষার্থীদের সাথেও খারাপ আচরণ করেন বলে অভিযোগ করেন তারা।
এদের মধ্যে হুজাইফা নামের এক শিক্ষার্থী বলেন- মোটরসাইকেল ও আমাদের বহনকারী সিএনজি একই দিকে যাচ্ছিল। হঠাৎ এএসআই মারুফের মোটরসাইকেলের সাথে সিএনজির ধাক্কা লাগে। এ সময় মোটরসাইকেল থেকে নেমেই সিএনজি চালকের উপর চড়াও হন এএসআই মারুফ। বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে তার সাথে থাকা হেলমেট দিয়ে সিএনজি চালকের মাথায় সজোরে আঘাত করেন। এতে তার মাথা ফেটে যায় রক্তাক্ত হয়। পরে আমরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই।
তিনি আরও বলেন- সিএনজি চালক গরীব অসহায় বলে এএসআই মারুফ তার সাথে এমন খারাপ আচরণ করতে সাহস পেয়েছে। আমরা প্রতিবাদ করলে আমাদের সাথেও খারাপ আচরণ করেছে। আমরা এর বিচার চাই।’
ঘটনা শুনে তাৎক্ষনিক হাসপাতালে ছুটে যান বিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) ফজলুল করিম, কোতয়ালী মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেনসহ পুলিশের কর্মকর্তারা। এ সময় ওসি আনোয়ার হোসেন চালক সজিবকে চিকিৎসার জন্য ২ হাজার টাকা দিয়ে ঘটনার যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
এ বিষয়ে জানতে এএসআই মারুফের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
কোতয়ালী মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন- ঘটনা শুনে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’