সকল বিভাগ

বরিশালে শতবর্ষী দিঘি ভরাটের প্রতিবাদে মানববন্ধন

  প্রতিনিধি ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ , ১২:০৩:৫৪ প্রিন্ট সংস্করণ

তালাশ প্রতিবেদক॥ বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালের পেছনে শতবর্ষী দিঘি ভরাটের প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে। ভরাট ঠেকাতে সংশ্লিষ্টদের বরাবর দেওয়া হয়েছে স্মারকলিপি। বুধবার বিকালে চহুতপুর এলাকাবাসী, বেলা এবং বরিশাল নগর উন্নয়ন ফোরামের যৌথ উদ্যোগে মানববন্ধন হয়।

 

দিঘিটি ভরাট হওয়ার অংশে দাঁড়িয়ে করা মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, স্থানীয় মসিউল আলম পলাশ, মো. মঈন মোল্লা, তুষার সেন, বরিশাল সাংস্কৃতিক সমন্বয় পরিষদের সভাপতি শুভংকর চক্রবর্তী, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সম্পাদক মো. রফিকুল আলম, বেলার বরিশাল বিভাগীয় সমন্বয়কারী লিঙ্কন বায়েন, বরিশাল নগর উন্নয়ন ফোরামের সমন্বয়কারী কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু।

 

লিংকন বায়েন বলেন, “নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালের পেছনে চহুতপুর দিঘি। দিঘি বছর ধরে এলাকাবাসী ও বাস টার্মিনালের শত শত শ্রমিক গোসলসহ দৈনন্দিন কাজে দিঘির পানি ব্যবহার করেন। স্থানীয় জলাবদ্ধতা নিরসনের পাশাপাশি এলাকার সার্বিক পরিবেশ রক্ষায় দিঘিটি বিশেষ অবদান রেখে চলেছে।” “এমনকি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এলাকার ঘরবাড়িতে আগুন নিভানোর কাজেও ইতোপূর্বে এ দিঘির পানি ব্যবহার করেছে।” তিনি আরও বলেন, “কিছুদিন ধরে গভীর রাতে অসংখ্য ট্রাকের মাধ্যমে বালু ফেলে দিঘিটি ভরাট করা হচ্ছে। এতে দীঘিটি হারিয়ে যেতে বসেছে। ধ্বংস হতে চলেছে এলাকার সার্বিক পরিবেশ।” যদিও প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী দেশের সব পৌর এলাকার খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান, উদ্যান এবং পুকুর ভরাট শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ব্যক্তিগত পুকুর হলেও তা ভরাট করা যাবে না বলে আইনে নির্দেশনা আছে বলে তার দাবি।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বরিশাল নগর মাস্টার প্লান-২০১০ এর সরকারি গেজেটভুক্ত সংরক্ষিত তালিকায় রয়েছে দিঘিটি। তাদের অভিযোগ, প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে বরিশালে একের পর এক পুকুর, খাল, নদী দখল ও দূষণের কবলে পড়েছে। হারিয়ে যাচ্ছে জীববৈচিত্র্য। শতবর্ষী ও ঐতিহ্যবাহী দিঘিটির সুরক্ষায় সংশ্লিষ্টদের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বক্তারা।

মানববন্ধন শেষে চহুতপুর আলীর দিঘি রক্ষার দাবি জানিয়ে বরিশালের জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক, বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের উপ-পরিচালক বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। এদিকে, জলাধারটির মালিক আলী হোসেন হাওলাদার বলেন, “এটা দিঘি নয়, নিচু জমি। ওই জমি প্লট করে বিক্রি করা হয়েছে। যে যার মত করে ভরাট করছেন। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।”