দেশজুড়ে

বরিশালে ভেস্তে যাচ্ছে নো হেলমেট-নো ফুয়েল কার্যক্রম!

  প্রতিনিধি ১৯ মে ২০২৪ , ১:৩৬:০৭ প্রিন্ট সংস্করণ

তালাশ ডেস্ক ॥ দেশব্যাপী মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা রোধে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ কার্যক্রম বাস্তবায়নে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। বরিশালেও শনিবার তেলের পাম্পগুলোতে প্রচারণা শুরু করে মেট্রোপলিটন পুলিশ। কিন্তু তেলের পাম্পের বাইরে নগরীর দেড় শতাধিক অবৈধ খুচরা দোকানে অবাধে বিক্রি হচ্ছে জ্বালানি তেল। হেলমেট আছে কি নেই সেই বাছবিচার নেই। ফলে ভেস্তে যাচ্ছে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ কার্যক্রম।

বরিশাল জেলা প্রশাসনের বাণিজ্য শাখা সূত্রে জানা গেছে, নগরীতে দেড় শতাধিক খুচরা দোকানে তেল বিক্রি হচ্ছে। এসব দোকানের শতভাগই অবৈধ। দোকানদারদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রায়ই ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়। কিন্তু অভিযানের খবর পেয়ে অবৈধ দোকানদাররা তেলের ড্রাম লুকিয়ে ফেলে বা দোকান বন্ধ করে চলে যায়।

 

সরেজমিন দেখা গেছে, নগরীর পোর্টরোডে অন্তত ৭টি দোকানে জ্বালানি তেল বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লঞ্চঘাট, ভাটারখাল, বান্দ রোড, রূপাতলী ও নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল, সিঅ্যান্ডবি রোড, হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা এলাকায়ও প্রকাশ্যে খুচরা বিক্রেতারা তেল বিক্রি করে আসছে। এছাড়া কাশিপুর বাজার, গড়িয়ারপাড় মোড়, সাধুরবটতলা, মড়ক খোলা পোল, কাউনিয়া, ভাটিখানা, সোনালী মোড়, বেলতলা বাজার, শায়েস্তাবাদ, চরকাউয়া, কর্নকাঠী মোড়সহ বিভিন্ন এলাকার খুচরা দোকানে তেল বিক্রি হচ্ছে। বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকায় অন্তত ২০টি তেলের পাম্প রয়েছে। সরকার ঘোষিত ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ কার্যক্রম বাস্তবায়নে পুলিশের পক্ষ থেকে পেট্রোলপাম্পে কর্মরতদের সচেতন করাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পাম্পগুলোতে জনসচেতনতামূলক ব্যানার, পোস্টারও সাঁটানো হয়েছে। কিন্তু নগরীর অবৈধ খুচরা দোকানে পুলিশের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।

 

বরিশাল নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব ডা. মিজানুর রহমান বলেন, সরকারি নির্দেশনার শতভাগ বাস্তবায়নে এসব অবৈধ খুচরা দোকান অবিলম্বে বন্ধ করা দরকার। নয়তো সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর শ্রম বৃথা যাবে।

 

রাব্বি ফিলিং স্টেশনের মালিক গোলাম মোহাম্মাদ খান সুমন বলেন, আমরা একাধিক দপ্তর থেকে লাইসেন্স নিয়ে পাম্পে তেলের ব্যবসা করছি। অথচ কোনো ধরনের নিয়ম না মেনেই নগরীতে চলছে অসংখ্য অবৈধ তেলের দোকান। এসব দোকান অবিলম্বে বন্ধ না হলে হুমকির মুখে পড়বে সরকারি নির্দেশনা।

 

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) তানভীর আরাফাত বলেন, নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রতিটি পেট্রোল পাম্পে ব্যানার লাগিয়েছি। মোড়ে মোড়ে সচেতনতা পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। খুচরা তেলের দোকানের বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

বরিশাল পুলিশ কমিশনার জিহাদুল কবির বলেন, জ্বালানি তেল বিক্রির অবৈধ দোকানগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

বরিশাল জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম বলেন, যত্রতত্র খুচরা দোকানে তেল বিক্রি করা যাবে না। খোলা তেল বিক্রি বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আরও খবর

Sponsered content